TRENDING:

রাসচক্রের আয়োজনে আলতাপ মিঞা, লক্ষ্মীপুজোর পরেই শুরু হয়ে যায় আয়োজন

Last Updated:

অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতেই বাংলার এক কোনে বসে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে চলেছেন আলতাপ মিঞা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কোচবিহার: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতের অপেক্ষায় থাকেন কোচবিহারের আলতাপ মিঞা। সবাই যখন ধনদেবীর আরাধনায় ব্যস্ত, তখন ছাটগুড়িয়াহাটি গ্রামে তোর্সা নদীর পাড়ে রাসচক্র তৈরি করতে শুরু করেন আলতাপ। বংশপরম্পরায় কোচবিহার রাজবাড়ির মদনমোহন দেবের রাস উৎসবের রাসচক্র তৈরি করেন এই মুসলিম পরিবার।
advertisement

সম্প্রীতি রক্ষায় রাজপরিবারের চালু করা প্রথা আজও বর্তমান কোচবিহারে। তিন পুরুষ ধরে মদনমোহন মন্দিরের রাস উৎসবের রাসচক্র তৈরি করে আসছেন আলতাপ মিঞার পরিবার। বাপ-ঠাকুরদার পর দায়িত্ব এখন আলতাপের। নিষ্ঠা এতটাই যে লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে রাস পর্যন্ত আমিষ ঢোকে না তাঁদের হেঁশেলে।

১৮৮৯ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকেই তাজিয়ার আদলে তৈরি রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসবের সূচনার প্রথা। প্রথমবার রাসচক্র তৈরি করেন আলতাপের ঠাকুরদা পানমামুদ মিঞা। রাসচক্র জুড়ে তাজিয়ার মত বাঁশের কাঠামোর গায়ে হাতের নকসাকাটা কাগজের আলপনা। তাতে বত্রিশটি হিন্দু দেবতার ছবি।

advertisement

মন্দিরের দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে সাত হাজার টাকার অস্থায়ী চাকরি। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসার। তোর্সার পাড়ে ভাঙনের আতঙ্ক নিয়ে নিত্যযাপন। ক্রমেই ঝাপসা হচ্ছে দৃষ্টি। মুখের বলিরেখায় অভিজ্ঞতার কাটাকুটি। অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতেই বাংলার এক কোনে বসে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে চলেছেন আলতাপ মিঞা।

আরও দেখুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
রাসচক্রের আয়োজনে আলতাপ মিঞা, লক্ষ্মীপুজোর পরেই শুরু হয়ে যায় আয়োজন