একই সঙ্গে মাদক কারবার ও মাদক পাচার চক্র সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছিল। সেই সূত্রের ভিত্তিতেই মালদহ পুলিশ, কলকাতা এসটিএফ, এবং জেলা পুলিশের ক্রাইম মনিটরিং গ্রুপ তিন জায়গায় অভিযান চালায়। আর তিনটি অভিযানই সফল হয়। প্রথমটি, মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরে ৫২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ রাজিকুল ইসলাম নামে এক মাদক কারবারিকে। তার বাড়ি কালিয়াচকের শেরশাহী এলাকায়। গোলাপগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাকে মাদক-সহ গ্রেফতার করেছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মালদহে গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবক! কী উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ? চমকে দেবে সেই কারণ!
অন্যদিকে কালিয়াচকের জালালপুরের নাতিবপুর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক-সহ দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কালিয়াচক পুলিশ, ক্রাইম মনিটরিং গ্রুপ এবং কলকাতা এসটিএফ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। উদ্ধার হয় দেড় কেজিরও বেশি ব্রাউন সুগার। ধৃত দু’জনের মধ্যে একজন কালিয়াচকের শ্মশানীর বাসিন্দা সামাদ শেখ। অপরজন কালিয়াচকের শাহেদপুর মির্জাপুরের বাসিন্দা শামীমা আকতার।
তৃতীয় অভিযানে মালদহের ইংরেজবাজারের রথবাড়ি এলাকা থেকে ৮০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেফতার করা হয় শাহাদাত হোসেন নামে এক যুবককে। ওই যুবক কালিয়াচকের ফতেখানি এলাকার বাসিন্দা। এক্ষেত্রেও মাদক সরবরাহকারী হিসেবে উঠে আসে কালিয়াচকের মহম্মদ সালাম শেখের নাম।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সমস্ত মাদক মালদহ থেকে বিহারের আড়াড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিহারের আড়াড়িয়ার বাসিন্দা আরও তিন মাদক কারবারির নাম পুলিশের হাতে এসেছে। মালদহে মাদক কারবারের বিরুদ্ধে অভিযানে আরও গতি আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।