ওই দুই যুবক কোথা থেকে এত বিপুল পরিমাণ মাদক আনিয়েছিলেন ? তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের মালদহ আদালতে পেশ করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সূত্রের খবর, মালদহে মাদক পাচারের রমরমা কারবারের গতিবিধি সম্পর্কে বেশ কিছুদিন ধরেই খোঁজ রাখছে সিআইডি-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
advertisement
এরই মধ্যে মাদকের হাতবদল হতে পারে এমন খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে সিআইডি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বালিয়াডাঙা মোড় এলাকায় সূত্রের খবর মতোই হাজির হয় এই দুই যুবক। এর পর তাদের আটক করে তল্লাশি চালিয়ে এক কেজির বেশি ব্রাউন শুগার উদ্ধার হয়। এ দিন ধৃতদের বয়স ২০-২১ বছরের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই অল্প বয়সের এই যুবকদের মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ার ঘটনা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কারা এই মাদকের ক্রেতা, কোথায় এই মাদক পৌঁছনো হত তাও খতিয়ে দেখছে সিআইডি।
আরও পড়ুন : জীবনের জয়গান গাইতে হাজির সম্পূর্ণ এইচআইভি পজিটিভ কর্মী পরিচালিত এই ক্যাফে
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই মালদহ টাউন স্টেশন চত্বরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করে এসটিএফ। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক দম্পতিকে। অভিযোগ, মিউজিক সিস্টেমের মধ্যে লুকিয়ে প্রায় আড়াই কেজি মাদক পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে ওই সময়।
আরও পড়ুন : বাচ্চা কি কারণে-অকারণে রেগে যাচ্ছে? রাগ নিয়ন্ত্রণের পথ দেখাতে হবে অভিভাবককেই
আরও পড়ুন : মদের প্রতি আসক্তি কিছুতেই ছাড়তে পারছেন না? নিজের চরম ক্ষতি থেকে বাঁচতে উপায়
এ ভাবে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এসটিএফ ও সিআইডির জোড়া মাদক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মাদক পাচার চক্র মালদহ রুট ব্যবহার করে কারবারের জাল ছড়াচ্ছে, এমনই অনুমান পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে।
(সেবক দেবশর্মা)