তিনশো ফুট উচ্চতায় কালী মন্দির। সেবক পাহাড়ের ১০৭টা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মন্দিরে পৌঁছতে হয়। কালীপুজোর দিন ভক্তদের ঢল নামে সেবকেশ্বরী কালি মন্দিরে।শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর সড়কের বাঁ-দিকে মন্দির। ১০৭ খানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তবে মন্দিরে পৌঁছনো। মাত্র ১৫ বছর আগে পাকা মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়।
এখানে এখনও পাঁঠা বলি হয়। মানতের পাঁঠার সংখ্যাও বেড়েই চলে প্রতি বছর। মন্দিরের উপর পাহাড়ের কোলে সারি সারি খিচুড়ির কড়াই ফুটতে থাকে সন্ধ্যা থেকেই। বিশেষভাবে বোয়াল মাছ কালীঠাকুরকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়। তার সঙ্গে দই-মিষ্টি তো রয়েছেই। অন্তত দেড়শো কড়াই খিচুড়ি নামে কালীপুজোর রাতে। ভোগে থাকে সাদা ভাত, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা, ঘ্যাঁটের তরকারি, আলু ফুলকপির সবজি, ফ্রায়েড রাইস, ছোলার ডাল, পায়েস, সুজি। তা ছাড়া দেবীকে উৎসর্গ করা হয় মাছ ভাজা, চিঁড়ে ভাজা । মন্দিরের মানত করে ফল পাওয়া ভক্তরাই মন্দির সংস্কার করে দিয়ে থাকেন।দু বছর করোনার জেরে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তবে এ'বছর বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের ঢল নামবে বলে আশাবাদী মন্দিরের পুরোহিত নন্দগোপালবাবু।
advertisement
অনির্বাণ রায়