বোমা মিলতেই সকাল থেকে এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড এবং দমকল বিভাগকে। বিকেলের দিকে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড এলাকায় পৌছে পাঁচটি জারের ভেতরে লুকোনো অবস্থায় ১৪১ বোমা পায়। এরমধ্যে ৯৯ বল বোমা। বাকী ৪২ টি কৌটো বা সুতলি বোমা। সাবধানতার সঙ্গে বোমগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার একটি আম বাগানে । এরপর ধাপে ধাপে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বোমাগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। নিষ্ক্রিয় করার সময় আমবাগান এলাকা কেঁপে ওঠে। ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা।
advertisement
তবে কোথা থেকে এই বোমা গুলি আনা হয়েছিল কেনই বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বোমা গুলি মজুদ করা হয়েছিল, তা নিয়ে তৈরী হয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী মহম্মদ আফতাউদ্দিন বলেন, যে ঘরে বোমা গুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি বেশ কযেক বছর অব্যবহৃত। এক সময় ওই ঘরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা থাকতেন। তবে এখন এলাকায় লোকজন বিশেষ যাতায়াত করেন না। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়। বোমা কাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।
Sebak Deb Sarma