ভোটের ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, দার্জিলিং ও কার্শিয়াংয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। আর যে গুরুংকে নিয়ে এত আশা ছিল তৃণমূলের, তাঁর প্রার্থী পিটি ওলা চলে দার্জিলিংয়ে পেয়েছেন তৃতীয় স্থান। কার্শিয়াংয়েও বিমল গুরুং শিবিরের প্রার্থী নরবু জি লামা রয়েছেন সেই তৃতীয় স্থানেই। কালিম্পং আসনটি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পেলেও তা পেয়েছেন গুরুংয়ের বিরোধী শিবিরের নেতা বিনয় তামাংয়ের প্রার্থী। কালিম্পংয়েও বিমল গুরুং শিবিরের প্রার্থী চলে গিয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
advertisement
এরপরই প্রশ্ন উঠছে কেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুংকে প্রত্যাখান করল পাহাড়? রাজনৈতিক মহলের মতে, বারবার বিমলের রাজনৈতিক অবস্থান বদলকে ভালো ভাবে নেননি পাহাড়বাসী। ভোটের ফলাফলেই তা কার্যত প্রমাণিত। কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন তিনি, কখনও আবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই পাহাড়ের জনজীবন অচল, অশান্তি, পর্যটন ব্যবসা ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা নাগাড়ে দেখেছে পাহাড়বাসী।
এবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তিনি হাত মিলিয়েছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে। এতে মোর্চার অপর নেতা বিনয় তামাং শিবিরের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়। মোর্চার দুটি গোষ্ঠী আলাদা-আলাদা প্রার্থী ঘোষণা করে। তাতেও সুবিধা পেয়ে যায় বিজেপি। সব মিলিয়ে মোর্চার দ্বন্দ্ব, বিমল গুরুংকে পাহাড়বাসীর প্রত্যাখ্যানে গোটা রাজ্যের উলটো ছবি দেখা গেল বাঙালির প্রিয় পাহাড়ে।