"রাজ্যে নব্য তালিবান শাসন চলছে। একজন সভাধিপতির আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছবি আপনারাই দেখিয়েছেন। ছবি দেখে মনে হবে যেন ওটা কাবুলের ছবি। এর আগেও পুরুলিয়ার ওই সভাধিপতির বিরুদ্ধে বিজেপির জেলা সভাপতিকে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অবিযোগ রয়েছে। দলেরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।" বললেন দিলীপ ঘোষ।
দলের প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "রাজ্যওয়ারি দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন হবে। কেন না অন্য দল থেকে অনেকেই এসছেন বিজেপিতে। তাদেরকেও দলের কমিটিতে আনা হবে। দলকে আরও শক্তিশালী করা হবে।" শুধু রাজ্যের সাংগঠনিক রদবদলই হয়, জেলাস্তরেও নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
advertisement
অনীত থাপার নতুন দল গড়া প্রসঙ্গে এনজেপি স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "পাহাড়ের মানুষ বিজেপির সঙ্গেই আছে। তারা তাদের কাজ করে দেখাক। এর আগে মানুষ তাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। এতে আমাদের সংগঠনের কোন ক্ষতি হবে না।" স্টেশন থেকে সড়ক পথে তিনি সোজা চলে যান জলপাইগুড়িতে। আজ সেখানে দলের সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসছে। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করবেন রাজ্য সভাপতি। বৈঠকে থাকবেন কেন্দ্রীয় অনগ্রসর কল্যান মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জন বার্লাও। পরে শহীদ সম্মান যাত্রায় যোগ দেবেন তিনি। বাধা এলেও সম্মান যাত্রা হবে বলে ঘোষণা রাজ্য সভাপতির। এদিন স্টেশনে দলের রাজ্য সভাপতিকে স্বাগত জানাতে পৌঁছন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং শিখা চট্টোপাধ্যায়।