অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তাঁর বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি থানার সামনে সাবিত্রী মিত্রর কুশপুতুলও দাহ করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই নয়, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। এদিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসে 'সিআইডি'! 'ডিএলএড' প্রশ্নপত্র 'ফাঁস' নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য
বিতর্কের সূত্রপাত গত রবিবার। ওইদিন রতুয়া বিধানসভার কাহালা হাইস্কুল মাঠে প্রতিবাদ সভা ও প্রকাশ্য সমাবেশ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রকাশ্য সমাবেশে হাজির ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী। ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী, সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। ওই সমাবেশে তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে বিতর্ক। সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও। বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত হয় রাজ্য বিধানসভা।
এতদিন পর্যন্ত মালদহে সাবিত্রী মিত্রের বক্তব্য নিয়ে সেভাবে বিজেপিকে সরব হতে দেখা না গেলেও মঙ্গলবার বিকেলে রতুয়ায় তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের কুশপুতুল নিয়ে মিছিল করে বিজেপি। থানার কাছেই পোড়ানো হয় বিধায়কের কুশপুতুল। বিজেপির দাবি, রতুয়ার কাহালার সভায় দুর্যোধন ও দুঃশাসন বলে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, গুজরাতিদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মাথার ঠিক নেই। মন্ত্রিসভার অনেকেই জেলে। সাবিত্রী মিত্র কোথা থেকে এমন তথ্য পেয়ে কথা বলছেন তাতে আমরা স্তম্ভিত। আমরা চাই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ হোক। তা না হলে আমরা ফের বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।"