এই বৈঠকেই আমন্ত্রিত ছিলেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও৷ যদিও কলকাতায় থাকায় তিনি বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি৷
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বিজেপি সাংসদের উপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও জল্পনা ছড়ায়৷ কারণ সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকেও বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের দেখা যায় না৷ এ দিনের বৈঠক শেষে অবশ্য যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন খগেন মুর্মু৷ তাঁর দাবি, উন্নয়নমূলক কাজে সবসময় সরকারের পাশেই থাকেন তাঁরা৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও দাবি করেছেন, তাঁকে জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন খগেন মুর্মু৷
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান, মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই উত্তরবঙ্গে 'শিল্প সামিট'
বৈঠক শেষে খগেন মুর্মু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সবার কথা শুনেছেন৷ আমি যে প্রস্তাবগুলি দিয়েছি তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠালে সন্তুষ্ট হব৷ তবে আদিবাসীদের উন্নয়নে যে প্রকল্পগুলি রয়েছে তা রূপায়ণের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে৷' বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, 'আমরা তো সবসময়ই চাই উন্নয়ন নিয়ে যে কোনও বৈঠকে আমাদের ডাকা হোক৷'
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বলেন,'আমরা সবমসয় গঠনমূলক বিরোধিতা করতে চাই৷ খগেন মুর্মু আমাকে জানিয়েই আজকের বৈঠকে গিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন আমরা তাঁর সঙ্গে গুজরাতে গিয়েও এ রাজ্যে বিনিয়োগ করার জন্য আবেদন করতে তৈরি৷ যাতে এখানকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হয়৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের এই গঠনমূলক ভূমিকার কথা স্বীকার করে না৷'
আরও পড়ুন: সবার জন্য কাজ করুন, মনিটারিং সেল তৈরি করুন, শিলিগুড়ির জয়ী কাউন্সিলরদের বললেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আলাদা করে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে কিছু বলেননি৷ তিনি বলেন, 'আদিবাসীদের উন্নয়নে সরকার অনেক প্রক্লপ আনছে৷ আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সব সদস্যই এতে খুশি৷ তাঁদের প্রত্যেকের মতামত শোনা হয়েছে৷ এগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে৷'
জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের জনসমর্থন বিধানসভা ভোটে অনেকটাই নিজেদের দিকে ফেরাতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ এবার উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদেরও মন জয় করাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর৷ কারণ এখনও উত্তরবঙ্গে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিশালী৷ যার অন্যতম মূল কারণ আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক৷