একুশের কুরুক্ষেত্রে তিনটির মধ্যে দু'টি আসন জেতে বিজেপি। তারপরও পুরভোটে প্রাপ্তি শূন্য! কেন? এমন কি, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বার ওয়ার্ডেও হারতে হয়েছে বিজেপি এবং তাদের জোটসঙ্গীকে। এ নিয়েই জোর আলোচনা শুরু হয়েছে শৈলশহরে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে বাঙালির প্রিয়তম রেস্তরাঁর মালিকের দলই বাজিমাত করল পুরভোটে, কে এই অজয়!
advertisement
হারের কারণ কী? বিজেপি নেতার দাবি, নির্বাচনী সংকল্প পত্রে পাহাড়ের ১১ জনজাতির তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি এবং দার্জিলিংয়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে উল্লেখ থাকলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। একাধিকবার লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে পাহাড় পেয়েছে শূন্য। তাই এবারের পুরভোটে দার্জিলিংবাসীও খালি হাতে ফিরিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে।
ওই বিজেপি নেতার দাবি, স্রেফ প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে দল। তারই প্রভাব পড়েছে নির্বাচনের ইভিএমে। পুরভোটে ৩২ আসনের মধ্যে ২৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে জোটসঙ্গী জিএনএলএফ। ৮টিতে লড়ে বিজেপি। এতেও শিঁকে ছেঁড়েনি। জিএনএলএফের সঙ্গে জোট গড়েও ফল শূন্যই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভরসার উত্তরে উড়ে গেল বিজেপি, মমতা-ম্যাজিকেই খেলা ঘোরাল তৃণমূল!
পাহাড় এবার হামরো পার্টির সঙ্গে। তাই নতুন এই দলের সঙ্গেই জোট গড়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি নেতা। পাশাপাশি নিশ্চিত জেতা আসনেও জয় না পাওয়ায় দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। দ্রুত হারের কারণ নিয়ে বৈঠক ডাকার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনে ভরাডুবির পর আজই দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার কাছে ভয়েস মেসেজ পাঠান তিনি। সেই অডিও পাহাড়ে ভাইরাল হয়েছে। আর তাতেই অস্বস্তিতে বিজেপি শিবির। যদিও এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিধায়ক নীরজ জিম্বা।
এদিকে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই জোট করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। তাঁর দাবি, পাহাড়ের অন্য আঞ্চলিক দলগুলির মতো সেই পথে আর পা বাড়াবেন না তারা। তিনি জানান, পাহাড়ের উন্নয়নে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলবে হামরো পার্টি। এবং এককভাবেই লড়বে পাহাড়ের উন্নয়নে।