মূলত নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক। স্লোগানই বা কি হবে? তা আজ জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। উত্তরবঙ্গকে এবারে পাখির চোখ করে পা ফেলছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রের খবর, প্রতিটি বুথে নতুন করে ২০ জন সদস্য আনতে হবে। যার মধ্যে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, ওবিসি এবং মহিলা সদস্য রাখতে হবে। ২৫০ জন করে সদস্য নিয়ে এক একটি বুথে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরী করতে হবে।
advertisement
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে দলে টানার প্রক্রিয়া চালাতে হবে। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য, হেরে যাওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদেরকেও দলে টানার প্রক্রিয়া চালাতে হবে। বিভিন্ন মঠ, মন্দিরের পুজারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দলে যোগ করাতে হবে। সেল্ফহেল্প গ্রুপ, সমবায় ব্যাঙ্কে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি বুথে পাঁচটি করে দেওয়াল লিখতে হবে। প্রত্যেক বুথে কমপক্ষে পাঁচজনের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে, যাঁদের মোটরবাইক রয়েছে। দলে সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। প্রতি বুথে বুথ লেভেল এজেন্ট নিয়োগ করতে হবে। স্লোগান হবে "কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, পদ্ম ফুল ঘরে ঘরে"। যদিও বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানান, আজকের বৈঠক পুরোপুরি সাংগঠনিক। দলকে চাঙ্গা করে ভাল ফলের লক্ষ্যে এগোতে হবে। কেননা একুশে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপিই।
Partha Sarkar