অনীতের ডাক, ৯ সেপ্টেম্বর দার্জিলিং চলো। আর এই সভাস্থল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একদা অনীতের সঙ্গী বিনয় তামাং (Binoy Tamang)। বিনয় বলেন, আগে জিমখানা ক্লাবে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী হত। কিন্তু ২০০৮-এর মে মাস থেকে সব বন্ধ। জিমখানা ক্লাবের পাশাপাশি ভানু ভবন এবং চৌরাস্তায় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচী করা যাবে না। ওই সময় জিটিএ এবং স্থানীয় বিদ্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি রাজ্যকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে জিটিএর চেয়ারম্যান ছিলেন বিনয় তামাং। তিনি জানান, জিমখানা ক্লাবের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
advertisement
এ নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে সভা করার অনুমতি না দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত জিমখানা ক্লাবের এক্সিকিউটিভ সদস্য আবার বিনয় নিজেও। অনীত থাপার কাছেও একই চিঠি পাঠিয়েছেন। ক্লাবের গরিমার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা জিমখানা ক্লাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচী হয় না। তবে অনীতের নতুন দল নিয়ে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। নতুন দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে খোঁচা দিয়ে বলেন, অন্তত দল যেন দুর্নীতিমুক্ত হয়।
অন্যদিকে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় অনীতপন্থীরা। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রচারও সেরে ফেলেছেন। জিমখানা ক্লাবেই অনুষ্ঠান হবে। অনীতপন্থী নেতা কেশবরাজ পোখরেল পাল্টা বলেন, ‘‘ক্লাব কর্তৃপক্ষই আমাদের লিখিতভাবে অনুমতি দিয়েছে। আর এখনও আমরা কোনও রাজনৈতিক দল নই। যা হওয়ার ওইদিনই ঘোষণা হবে। ক্লাবেরই কয়েকজন সদস্য আবেদন করেছেন। ওইদিন দার্জিলিংয়ের বিশিষ্টজনেরা সভায় উপস্থিত থাকবেন। নতুন করে পাহাড়ের উন্নয়ন করা হবে। সকলকে নিয়েই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হবে। অনীত থাপা নিজেই নতুন দলের নাম ঘোষণা করবেন।’’
পার্থ প্রতিম সরকার
