২০১৭ সালে পাহাড়ে আন্দোলনের মাঝেই আত্মগোপন করেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি সহ একাধিক নেতা। বিজেপির সঙ্গেই ছিল গুরুংরা। আচমকাই গত অক্টোবরে পুজার আগে কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করেন সপার্ষদ বিমল গুরুং। বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে ঘোষণা করেন একুশের নির্বাচনে ঘাস ফুলের সঙ্গেই থাকবেন। তারপর থেকে পাহাড়ে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেন গুরুং। ইতিমধ্যেই গুরুং ঘনিষ্ঠ রোশন গিরি কার্শিয়ংয়ে সভা করেছেন। তার পালটা সভাও করেছেন অনীত থাপা। দুই শিবিরের চাপানউতোর চলছে। একে অপরকে আক্রমণ পালটা আক্রমণের পালা চলছে। এতেই শীতের পাহাড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে।
advertisement
তবে গুরুংপন্থীদের টার্গেট এবারে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিতে মরিয়া গুরুংরা। আজ শিলিগুড়ি জার্ণালিস্টস ক্লাবে গুরুংপন্থী মোর্চার সহ সভাপতি বিশাল ছেত্রী বলেন, বাংলায় বিজেপিকে এনেছে বিমল গুরুং। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৮টির মধ্যে ৭টি আসন পায় বিজেপি। নরেন্দ্র মোদি নয় বিমল গুরুংয়ের আত্মবলিদানের ফল পেয়েছিল বিজেপি। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯-য়ের নির্বাচনে দার্জিলিং লোকসভা আসনে বিজেপিকে সমর্থন জানায় গুরুংরা। পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যাণ্ড এবং ১১টি জনজাতিকে তফশিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। বাস্তবে কিছুই হয়নি। একুশের নির্বাচনে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
বিজেপি নেতা আনন্দময় বর্মন পালটা বলেন, উত্তরে বিজেপির ভালো ফলে গুরুংয়ের কৃতিত্ব নেই। রাজ্যজুড়েই বিজেপির হাওয়া বইছে। অন্যদিকে, এদিনও বিনয় এবং অনীতকে গোর্খাদের মীরজাফর বলে কটাক্ষ বিমলপন্থী মোর্চার। সূত্রের খবর গুরুংয়ের সভার পালটা সভার প্রস্তুতি নিয়েছে বিনয়পন্থীরা। সুকনায় সেই সভা হবে আগামী সপ্তাহেই।
Partha Sarkar