দিন কয়েক আগেই কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি (কেপিপি) এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে ছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরি, কেপিপি নেতা অমিত রায়, বুধারু রায়রা। আর এই বৈঠকের পরই গতকাল দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। এই সফর নিয়েও বাড়ছে ধোঁয়াশা। যদিও সফর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মোর্চা নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: আগামিকাল বনধ, একশো জায়গায় অবরোধ! নিজের জেলায় বিরাট ঘোষণা করলেন শুভেন্দুর
কী নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বৈঠকে? সূত্রের খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের তরাই এবং ডুয়ার্সের আসনগুলিতে জোট গড়ছে কেপিপি এবং মোর্চা। ডুয়ার্সে গোর্খা অধ্যুষিত এলাকায় গুরুংয়ের যথেষ্ট প্রাধান্য রয়েছে। আবার রাজবংশী ভোটও রয়েছে। ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতেই এই বৈঠক। সূত্রের খবর, জোট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদকেও জোটে সামিল করতে তৎপর দুই শিবির। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গে গুরুংয়ের সখ্যতা রয়েছে। গুরুং দিল্লি থেকে ফিরলেই আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে কেপিপি এবং মোর্চা নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আচমকাই এনসিপি প্রধানের পদ ছাড়লেন শরদ পাওয়ার, ভাইপো অজিতের সঙ্গে বিরোধের জের?
তবে কি বিজেপির সঙ্গেই থাকবে এই জোট? কারণ গুরুংয়ের দিল্লি সফর এক্ষেত্রে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কেপিপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, এখনও বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তৃণমূলের সঙ্গে যে জোট হচ্ছে না, তা নিশ্চিত। কেননা গুরুং আগেই ঘোষণা করেছেন, তৃণমূল এবং বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। তবে কেপিপি-গুরুং বৈঠক নিয়ে উত্তরের রাজনৈতিক মহল সরগরম।
অতুল রায় যখন বেঁচেছিলেন সেই সময়েও মোর্চার সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছিল দুই শিবির। এমন কী, লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির সঙ্গেই এক জোটে ছিল তারা। তেইশের পঞ্চায়েতেও জোট গড়েই যে তারা লড়বে তা নিশ্চিত করেছে দুই শিবিরই। দিল্লি থেকে গুরুং, রোশন গিরিরা ফিরলে জোটে সিলমোহর পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে জোট কি বিজেপির দিকেই ঝুঁকছে? তাও পরিষ্কার হবে।