নদীর মাঝখানটায় বড় বড় বোল্ডার জমে রয়েছে। পাহাড় থেকে নদীর জলে গড়িয়ে আসে বোল্ডারগুলো। তা জমতে জমতে নদীর বুক কার্যত উঁচু হয়ে গিয়েছে। কমেছে নাব্যতা। যার জেরে ভাঙছে নদীর পার। ক্ষতি হচ্ছে নদী সংলগ্ন এলাকা। পাহাড়ে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে হড়পার সম্ভাবনা প্রবল। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি মালনদীর ঘটনা এখনও টাটকা। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তার থেকেই শিক্ষা নিতে চলেছে রাজ্য। গুলমায় মহানন্দাতেও এমন সম্ভাবনা বাড়ছে। তাতে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে শহর শিলিগুড়ি। ইতিমধ্যেই নদীর পার ভাঙতে শুরু করেছে। ক্ষতি হচ্ছে মহানন্দা অভয়ারণ্যেরও। বন্যপ্রাণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বন দফতরের।
advertisement
সোমবার এলাকা পরিদর্শনের পর একথা জানান রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকই তা ঠিক করে মুখ্য বনপালকে রিপোর্ট দেবেন। তারপর পাঠানো হবে নবান্নে। মুখ্যসচিব সবুজ সংকেত দিলেই কাজটা শুরু হবে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। ড্রেজিং করে নদী থেকে বোল্ডার তুলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে। তারপর সেই বোল্ডার সরকারী কাজে ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে শহরে নাশকতার আশঙ্কা! থানাগুলিকে সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
২০১১ সালে পাহাড়ের অবিরাম বৃষ্টির জেরে গুলমায় ফুলেফেঁপে ওঠে মহানন্দা নদী। জলস্তর বেড়ে ভয়ানক রূপ নিয়েছিল। ভেসে গিয়েছিল একাধিক গ্রাম, চা বাগান। জলের তলায় ডুবে যায় বালি, পাথর বোঝাই লরি। ছুটে এসেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কিছু পদক্ষেপ সেই সময় নেওয়া হলেও আবারও নদীর মাঝখানে বোল্ডারের পাহাড়। ড্রেজিং করা হলে নদীর নাব্যতাও বাড়বে বলে মনে করেন বন কর্তারাও।