TRENDING:

Bengali News: ৭০০ বছরের পুরনো ইতিহাস শেষের পথে

Last Updated:

রাজা গনেশ রাজত্ব করতেন এই স্থানে। সেই সময়কার স্থাপত্য এটি। কালের নিয়মে যা হারিয়ে যাচ্ছে। গনেশ রাজার আমলেই কালাপাহাড়ের আক্রমনে ধ্বংস হয়ে যায় তাঁর প্রাসাদ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর দিনাজপুর: জেলার ইতিহাস বিপুল সমৃদ্ধ। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন অনেক অজানা ইতিহাস যা আপনি জানলে আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। মুঘল আমল থেকে সিন্ধু সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা থেকে হরপ্পা মহেঞ্জোদার বিভিন্ন সময়কার বিভিন্ন ইতিহাস দেখতে পাওয়া যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায়। কিন্তু বর্তমানে সেই ইতিহাস সংরক্ষণ অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কালের গভীরে।
advertisement

আরও পড়ুন: একের পর এক ধস, খনি এলাকার অদূর ভবিষ্যৎ কি যোশীমঠ?

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ-২ ব্লকের কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কসবামহেশো এলাকার। সেখানেই রয়েছে এক সুবিশাল ইতিহাসের ভাণ্ডার। দুটো পিলার আর একটা উঁচু ঢিবি ছাড়া বর্তমানে যদিও কোনও নিদর্শন বেঁচে নেই এখানে।প্রাচীন আমলের দুটো পাথরের পিলার। এই পিলারের গায়ে খোদাই করা রয়েছে গনেশ মূর্তি। বিশেষ উল্লেখযোগ্য এই এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন এই পিলার দুটিকে পুজো করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এখানেই বিরাজ করছেন ভগবান সিদ্ধিদাতা গনেশ।

advertisement

প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো এই ইতিহাস। এক সময় রাজা গনেশ রাজত্ব করতেন এই স্থানে। সেই সময়কার স্থাপত্য এটি। কালের নিয়মে যা হারিয়ে যাচ্ছে। গনেশ রাজার আমলেই কালাপাহাড়ের আক্রমনে ধ্বংস হয়ে যায় তাঁর প্রাসাদ। বর্তমানে যে পিলারগুলি দেখা যাচ্ছে সেটি তারই ধ্বংসাবশেষ। এমনই কাহিনী তারা শুনে আসছেন পূর্বপুরুষদের থেকে।

যদিও ইতিহাসবিদদের মতে গনেশ নয়, এখানে প্রাসাদ ছিল রাজা মহেশের। প্রায় ৭০০ বছর আগের কথা। সুলতান হোসেন শাহর আমলে এই প্রাসাদে আক্রমণ হয়। রাজাকেও এখানেই হত্যা করা হয়। তার নামানুসারেই একসময় এই পরগনার নাম ছিল মহেশ পরগনা। পরে এলাকাটির নাম হয় কসবা মহেশো।পুরোনো নথিপত্রে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে বলে জানান ইতিহাসবিদরা৷ তবে গণেশ না মহিশ, এই বিতর্কে থাকলেও তবে প্রাচীন আমলের বেঁচে থাকা এই স্বল্প নিদর্শনকে রক্ষনাবেক্ষনের দাবি জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ইতিহাসবিদ বৃন্দাবন ঘোষ জানান, ঐতিহাসিক দিক থেকে জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রায়গঞ্জ শহরের খরমুজা ঘাট এলাকায় বিভিন্ন শিলালিপি এখনও অবহেলায় পড়ে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই জায়গাটি সংরক্ষণ করে ওখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে জেলার ইতিহাস সম্পর্কে সকলেই অবগত হবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবুও মাথায় হাত! পান চাষ করে কেন সমস্যায় চাষিরা?
আরও দেখুন

পিয়া গুপ্তা

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Bengali News: ৭০০ বছরের পুরনো ইতিহাস শেষের পথে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল