মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এভাবেই বন্দী শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্তু জানোয়ারেরা। কবে পর্যটকদের জন্যে খুলবে সাফারি পার্কের দরজা? এখনও কিছুই ঠিক হয়নি। বন্দীতে থেমে নেই ওদের শরীরকে চাঙ্গা রাখার অভ্যেস। লকফাউনে বন্ধ নেই ওদের "জিমন্যাসিয়াম"! নিজেদের ঝরঝরে রাখতে নিয়মিত শারিরীক কসরত করছে ওরা। ওরা মানে ড্যাডি, জেনিফার, ফুর্বু আর ধ্রুব! সাফারি পার্কের চার ব্ল্যাক বিয়ার। দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানা থেকে ওদের আনা হয়েছিল সাফারি পার্কে। একেই অসহ্য গরমে ওদের হাসফাঁস অবস্থা। এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে এর আগে আইসের চাঁই নিয়ে দিনভর কাটিয়ে ছিল জেনিফার। স্বস্তির খোঁজেই বরফকে বেছে নেওয়া। আর এখন ব্যস্ত নিজেদের ফিট রাখতে।
advertisement
চার ব্ল্যাক বিয়ারের মধ্যে সাফারি পার্কে সবচাইতে সিনিয়র এই জেনিফার। আজ দিনভর নিজেকে ব্যস্ত রাখলো শারিরীক কসরতে। হাতে তুলে নিল ডাম্বেল। জিমের আদলেই চললো কসরত। শরীরকে যে চাঙ্গা রাখতে হবে। আর এক ব্ল্যাক বিয়ার নিজেকে ব্যস্ত রাখলো পুশ এণ্ড পুলে! ওর নাম ধ্রুব। বড় চার চাকার গাড়ির টায়ারকে নিয়েই ধ্রুবর চললো শরীর চর্চা! বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছে। জেনিফার আর ধ্রুব যখন ব্যস্ত শরীর চর্চায়, তখন বাকি দুই ব্ল্যাক বিয়ার ড্যাডি আর ফুর্বু ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে খুনসুঁটিতে! আপন মনে খেলায় মত্ত! সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ধর্মদেও রাই জানান, লকডাউনে প্রতিটি জন্তুই নিজেদের মেজাজে রয়েছে। এমনকী স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়াও করছে।
Partha Pratim Sarkar