একইভাবে সমর্থন রয়েছে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়েরও (Shikha Chatterjee)। তিনি জানান, "উত্তরবঙ্গে বাম আমল থেকেই উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূলের ১০ বছরের শাসনকালেও কোনও উন্নয়ন হয়নি। উত্তরকন্যা তৈরি করা হলেও এখনও সব কাজের জন্যে সেই কলকাতাতেই ছুটতে হয়। তাই এই দাবি ন্যায়সঙ্গত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, "তবে আমার মত, উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। তাহলে উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি দাবিও মিটবে উত্তরের মানুষদের।"
advertisement
অন্যদিকে বার্লার পাশে সরাসরি সমর্থন নেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের। তিনি বলেন, "উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। তবে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের পাশে থাকছি আমি। আমার মত দলকে জানিয়েছি। এনিয়ে এখন দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।" বললেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তবে ঘুরিয়ে বার্লাকে সমর্থন জানিয়েছেন উত্তরের আর এক বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর কথায়, "আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছি দুটো বিষয়ের দিকে তাকিয়ে। প্রথমত, লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ইস্তেহারে ছিল পাহাড়ের ১১ জনজাতি গোষ্ঠীকে তফশিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং দ্বিতীয়ত, পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে। জন বার্লা যা বলেছেন তা উত্তরবঙ্গের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা হতে পারে না। কিন্তু সংবিধানে সব কিছু হতে পারে। সংবিধানে সব কিছুর জায়গা রয়েছে।"
মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এমনটাই বললেন কার্শিয়ংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (Vishnu Prasad Sharma)। এদিন রাতেই উত্তরের একাধিক বিজেপি বিধায়ক রওনা দিলেন কলকাতায়। বুধবার দলীয় বৈঠকে যোগ দেবেন তাঁরা। সেই বৈঠকে এই দাবি উঠবে। তবে বুধবারের দলীয় বৈঠকে থাকছেন না জন বার্লা (John Barla)। তিনি এই ইস্যুতেই রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) দ্বারস্থ হচ্ছেন এদিন। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার সেখানেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করবেন বার্লা।
অন্যদিকে আর এক সাংসদ নিশীথ প্রামানিক রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দার্জিলিংয়ে বলেন, "জন বার্লা যা বলেছেন, তাঁর ব্যক্তিগত আবেগ। তবে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। উত্তরের গোর্খা, আদিবাসীরা নির্যাতিত। এটা উত্তরবঙ্গের আবেগ। আমরা কখনই ভেদাভেদ চাই না। একসঙ্গে থাকতে চাই। কিন্তু সেখানে যদি কেউ বৈমাতৃসুলভ আচরণ করে তার সন্তানের সঙ্গে। সন্তান যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে কিছু বলবার থাকে না। আমরা প্রশাসনিক দায়িত্বে থেকে কিছু বলছি না। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগকে সমর্থন করি।"