পরিবারের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পুরো টাকাও পেমেন্ট করেছিলেন। ৭২ হাজার টাকা পেমেন্টও করেন দুই পরিবারই। এনজেপি স্টেশন থেকে সিকিম যাওয়ার গাড়ি থেকে সেখানকার হোটেল এবং কলকাতা ফেরা পর্যন্ত পুরো বুকিংই ওই সংস্থার মাধ্যমে করিয়েছিলেন। সেই মতো দুই দম্পতি তাদের দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কলকাতা থেকে নর্থ সিকিম ঘোরার জন্য এনজেপিতে নামেন। কিন্তু নেমেই আর সিকিম যাওয়ার গাড়ি পাননি। গতকাল রাত থেকেই সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সুরাহা মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন : মালাবদলেই 'মাস্টার স্ট্রোক' কনের! কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ বরের, নেটজগতে তুমুল ভাইরাল
এদিকে স্টেশনে নেমে বিপাকে পড়েন পর্যটকেরা। আজ ফের ওই ট্র্যাভেল এজেন্টকে ফোন করেন পর্যটকেরা৷ কিন্তু তারা ফোনে জানায় গাড়ির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না৷ এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন পর্যটকেরা৷ পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এনজেপি থানার পুলিশকে ফোন করেন৷ পুলিশ এসে ওই এজেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন৷ এরপর গাড়ি ভাড়ার টাকা এজেন্ট ফিরিয়ে দেন৷
আরও পড়ুন : গোলাপও নেই, জামও নেই, তাহলে এই মিষ্টির নাম কেন গোলাপজাম? জানেন আপনি?
এর আগেও এনজেপি এলাকার এক বুকিং এজেন্টের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন এক দম্পতি৷ পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে টাকা ফেরত পান তারা৷ এদিকে হিমালয়ান হসপটালিটি ট্র্যাভেল ডেভলোপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক তথা পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল জানান, বিষয়টি রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রীর কাছে জানানো হবে। এই ধরনের ঘটনা যারা করবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার প্রস্তাব রাখা হবে। একটি আইনও আনা জরুরি। যেহেতু সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের সংগঠনের সদস্য নয়, তাই তারা সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এদিকে দুই পর্যটক দেবশ্রী দাস এবং সুদীপ দত্ত জানান, বেড়াতে এসে শুরুতেই এমন ঝক্কি পোহাতে হবে ভাবতে পারিনি আমরা। টানা ৪ ঘণ্টা অনিশ্চয়তার মধ্যে কেটেছে। কিন্তু বার বার কেন এমনটা হবে? উঠছে প্রশ্ন!