আরও পড়ুনঃ দেখে কেক ভাবছেন, কামড় দিলেই বেরিয়ে আসবে আসল স্বাদ!
দীর্ঘদিন ধরে খাবার নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিশু ও অভিভাবকেরা। অধিকাংশ দিনই দেওয়া হচ্ছে সেদ্ধ ভাত, অর্ধেক ডিম। খাবারে মেলে না সবজি। খিচুড়িতে অমিল ডাল। দিনের পর দিন ‘পুষ্টিহীন খাবারে’ ক্ষোভ। অন্যদিকে ডাল, তেল, লবণ সবই ভাড়ার শূন্য। যোগানের অভাবে সমস্যা পাল্টা সাফাই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর। মালদহের বামনগোলা ব্লকের মালডাঙা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ। আজ, সকাল থেকে ক্ষোভ ব্যাপক চেহারা নেয়। সাদা ভাত পেয়ে ক্ষোভে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীকে আটকে সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেন ক্ষুব্ধ মহিলারা।
advertisement
অভিযোগ, বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার আনেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী। সেন্টারে কোনও রান্না হয় না। খাবারের ডাল,সবজি প্রায় কিছুই থাকে না। উল্টে মাঝেমধ্যেই অস্বাস্থ্যকর খাবার, শুঁয়োপোকা, মশা, মাছি মিলছে খাবারে। বারবার বলার পরেও হাল ফেরেনা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। শেষপর্যন্ত আজ সকাল থেকে বিক্ষোভের শামিল হন এলাকার মহিলারা। যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শর্মিলা রায় দাবি করছেন, ‘সেন্টারের রান্নাঘরের পরিবেশ রান্নার উপযুক্ত নয়। এর আগে বারবারই রান্নার উনন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জানালা ভাঙা। তাই, বাড়ি থেকে খাবার তৈরি করে আনতে হয়। পুষ্টিহীন খাবার নিয়ে অভিযুক্ত কর্মীর দাবি, সরকারিভাবেই নাকি ডাল,তেল, লবণের সরবরাহ সঠিকভাবে মেলে না।’ বিষয়টি সুপারভাইজার সহ ওপর মহলে জানানো হয়েছে বলেও দাবি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর।
এদিকে, অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বামনগোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিডিপিও খোকন বৈদ্য। তিনি বলেন, এক – দু’দিন খাবারের সমস্যা হলে কোথাও এমন বিক্ষোভ হয় না। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ডালের যোগানে কিছু সমস্যা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু, যেভাবে অসুবিধের দাবি করা হয়েছে তা ঠিক নয়। অভিযোগ গুরুতর। খতিয়ে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।