উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এবং তরাইয়ের চা বাগানে লেপার্ডের আনাগোনা বহুদিন ধরেই। মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে হানা দেয় লেপার্ড। বন দফতরের পাতা খাঁচা বা নেটে বন্দীও করা হয় লেপার্ড। কিন্তু আজ, শুক্রবার সকালে লেপার্ডের থেতলে যাওয়া দেহ উদ্ধারে আবারও প্রশ্ন উঠেছে গাড়ির গতি নিয়ে।
আরও পড়ুন-দুশোর লক্ষ্যে দেড়শো কোটি! বাংলার ভোটে কত খরচ করেছিল বিজেপি, সামনে এল তথ্য
advertisement
জঙ্গল এবং চা বাগান লাগোয়া সড়কের ধারে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের একাধিক হোর্ডিং বন দফতর লাগিয়েছে। কারণ, গাড়ির গতির বলি হয়েছে বহু বন্য প্রাণী। শিলিগুড়ি ও নকশালবাড়ির সংযোগকারী জাতীয় সড়কে এর আগেও বহু বন্য জন্তুর মৃত্যু এবং জখমের ঘটনা ঘটেছে। আজ, শুক্রবার সকালে বাগান কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।
বাগডোগরা রেঞ্জের কর্মীরা পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠিয়েছে। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, জাতীয় সড়ক পারাপারের সময়ে দ্রুত গতিতে আসা কোনও গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় লেপার্ডটি। থেতলে যায় লেপার্ডটির দেহ। বেঙ্গল সাফারি পার্কে ময়না তদন্তের জন্যে নেওয়া হয়েছে। মুনি চা বাগানের ইন-চার্জ কুলদীপ মিনজ জানান, বাগানে লেপার্ড রয়েছে। ঘটনা দুঃখজনক। এর আগেও জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় বন্য জন্তুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দিনের ঘটনা নতুন নয়।
আরও পড়ুন-পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এ কী ট্যুইট করল ! ক্রিকেটপ্রেমীরা হেসেই অস্থির
কিন্তু বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। কেন? প্রশাসন কি কঠোর হবে না? পশুপ্রেমী সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে জঙ্গল ঘেঁষা পথে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উত্তরবঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় বন্য জন্তুর মৃত্যুর ঘটনার পর রেল গতি কমানোর নির্দেশিকাও জারি করে। সম্প্রতি ট্রেন চালকদের তৎপরতায় সেবক ও আলিপুরদুয়ারের মাঝে হাতি মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমানো গিয়েছে। তবে জাতীয় সড়কে নয় কেন? এর আগে বাগডোগরা ও নকশালবাড়ির মাঝে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে চিতল হরিণের। গুরুতর জখম হয় হস্তি শাবকও।
পার্থ প্রতিম সরকার