এই সমস্যা ২০২৩ সালের। এর পরে দুই বছর কেটে গেলেও, মেটেনি সমস্যা। চা বাগানের শ্রমিকদের সন্তানদের স্কুলে যাতায়াতের জন্য নেই স্কুল বাস। বাগানের কাজে ব্যবহৃত গাড়িতেই তাদের যাতায়াত করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য তাদের জবাবে সংসদে উল্লেখ করেছে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী যাদের অভিভাবকরা যুক্ত চা বাগানের কাজে তাদের জন্য লাইট মোটর ভেহিক্যালস ব্যবহার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই উত্তরে চা বাগানের শ্রমিকদের পরিবার। বানারহাট ও কারবালা সহ একাধিক চা বাগানে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক কার্যত মেনে নিল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বানারহাট ও কারবালা চা বাগানে। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের দাবি, বাসের পরিবর্তে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ‘লাইট কমার্শিয়াল ভেহিকল’ রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, চা পাতা তোলার ট্রাক, লরি, ট্র্যাক্টরে ছোট ছেলেমেয়েরা কার্যতই জীবন হাতে নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে।
advertisement
বানারহাট ও কারবালা। এই বাগানগুলিতে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও স্কুলবাস নেই। অথচ বাগান যারা চালাবেন, সেই ম্যানেজমেন্টের এটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই এই বিষয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম। যার জবাবে বলা হয়েছে লাইট কমার্শিয়াল ভেহিকলের কথা। চা পাতা তোলার ট্রাক, লরি, ট্র্যাক্টর, যাতে বাঁশ বাঁধা অনেক জায়গায়, এভাবে ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে দেওয়া নেওয়া করানো হয়, বলে জানিয়েছেন সাংসদ ঋতব্রত। পাশাপাশি বাগান থেকে ভিডিও ফুটেজ আনিয়েছেন তিনি।
ধূপগুড়ি ও মাদারিহাটে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এই বিশেষ অবস্থা নজরে এসেছিল। রাজ্য সরকারের তরফে ক্রেশ খোলা হয়। কিন্তু স্কুলে যাওয়ার নেই বাস।