আরও পড়ুন- ভক্তের ঢল! দিনে ভিক্ষুক এই ‘বাবা’, রাত হলেই…! ৩২ বছরের ভুল, অবশেষে পুলিশের জালে!
আবাস যোজনা ঘরের জন্য যোগ্য, কিন্তু তাদের নাম নেই। এদিকে এলাকার মৃত এক ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকায় রীতিমতো ক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর দুই নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনা তালিকায় রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের নাম। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, আবাস যোজনা তালিকা প্রধান বা মেম্বার তৈরি করেননি। সম্পূর্ণটাই ব্লক প্রশাসন করেছে। তাই কার নাম রয়েছে কে বাদ পড়েছে সেই বিষয়ে তাদের কোন কিছুই জানা নেই। স্থানীয় বাসিন্দা রাজিব মিঞা বলেন, প্রথমদিকে তালিকায় আমাদের নাম ছিল। আমরা কাঁচা বাড়িতে বসবাস করি। সার্ভের পর যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেখানে মৃত ব্যক্তির নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠ পরিবারের নাম রয়েছে কিন্তু আমাদের নাম নেই। আমরা চাইছি পুনরায় সার্ভে করা হোক
advertisement
আরও পড়ুন- ১৫০ কেজির সাপ! দুপুর হলেই রোদে এসে প্রেম করত এই ‘অজগর জুটি’? তার পর যা হল…!
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর পঞ্চায়েতের সাইরা গ্রামের বাসিন্দা মেহেদি হাসান। তিনি গত দুই বছর আগে মারা গিয়েছে। ইতিমধ্যে আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। সেই তালিকায় নাম রয়েছে মৃত মেহেদি হাসানের। এছাড়াও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে এই তালিকায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মৃত মেহেদী হাসানের পরিবার ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি স্থানীয়দের।
একাধিকবার সার্ভে করা হয়েছে তারপরেও পঞ্চায়েত সদস্যের ঘনিষ্ঠ মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় রয়েছে কিন্তু সেই তালিকায় নাম নেই এলাকার কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের। এই নিয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এমনকি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে এই বিষয়ে। সুলতান নগর পঞ্চায়েত প্রধান ধরমা মন্ডল বলেন, মৃত ব্যক্তির নাম এসেছে। সার্ভে হওয়া পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন। পরে মারা গিয়েছেন। সার্ভে করেছে ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা। এখানে আমাদের কোন করণীয় নেই।
২০১৮ সালে আবাস যোজনা প্রকল্পের আবেদন করেন উপভোক্তা। সার্ভে করার পর এই বছর সেই তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেখানে রয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম। কোথাও হয়তো ভুলবশত মৃত ব্যক্তির নাম তালিকায় এসেছে এমনটাই দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের।
হরষিত সিংহ