মালদহের ইংরেজবাজারের মাধবনগর ঘোষপাড়ায় একতলা বাড়ি। মা -মেয়ে একাই থাকতেন বাড়িতে। শনিবার সেই বাড়িরই শোওয়ার ঘরে দুজনকে রক্তাক্ত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিচারিকা।
শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল মেয়ে। তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন । মাথা ও মুখে ভারী আঘাত নিয়ে বিছানার পাশে মেঝেতে পড়ে ছিলেন মা। তাঁর পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ইট, নোড়া।
advertisement
পরিচারিকা খবর দেন প্রতিবেশীদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, দিন কয়েক আগে এক পুরুষ আত্মীয় মহিলার বাড়িতে আসেন। মেয়েটি তাঁকে কাকু বলে ডাকত। ঘটনার পর থেকে দেখা নেই সেই আত্মীয়র। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মহিলার স্বামী ছিলেন মালদহ পুলিশের ব্যান্ডবাদক। সপরিবারে পুলিশ কোয়াটার্সে থাকতেন তাঁরা। বছর দেড়েক আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন স্বামী। অফিস থেকে ১২ লক্ষ টাকা পান স্ত্রী। সঙ্গে পান পেনসনও। কয়েক মাস আগেই ঘোষপাড়ায় একতলার এই বাড়ি কেনেন স্ত্রী। মেয়েকে নিয়ে একাই থাকতেন স্ত্রী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সেভাবে পরিচয় হয়নি তাঁদের।
মা ও অবিবাহিত মেয়েকে কেন খুনের চেষ্টা করা হল তাই নিয়ে বাড়ছে রহস্য। ধন্দে পুলিশও। সম্পত্তিগত কারণ ? না কী ব্যাক্তিগত শত্রুতা ? এর সঙ্গে সেই পুরুষ আত্মীয়র কোনও যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মা ও মেয়ে একটু সুস্থ হলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত এগোবে বলে মনে করছে পুলিশ।