স্থানীয় সূত্রে খবর, দিনের আলোয় প্রকাশ্যে দিনহাটার একটি ক্লাবের সামনে উদয়ন গুহর উপর হামলা চলে। তাঁর বুকে ও পিঠেও আঘাত লেগেছে। ডান হাতের অনেকটা ফুলে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বোঝা যায়, হাত ভেঙে গিয়েছে তাঁর। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরও মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে।
বস্তুত, বাংলায় ফল পরবর্তী যে সমস্ত জায়গাগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি গন্ডগোলের খবর আসছে, তার মধ্যে অন্যতম নাম কোচবিহার। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের দাবি, গোটা জেলা জুড়েই অশান্তি পাকাচ্ছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার উদয়ন গুহের উপরেও হামলা চালানোতে অভিযুক্ত বিজেপি। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই ঘটনা। বিজেপির কোনও দায় নেই।
advertisement
অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁচকুদি এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এতে শাসক দল যুক্ত নয়। বরং বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। মিথ্যা কথা বলছে BJP। নিজেদের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। উস্কানি দিচ্ছে।' পাঁচকুদিতে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধরনের গাড়িতে রীতিমতো ইটবৃষ্টি চলে। ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচও।
প্রসঙ্গত, বাংলায় ভোট পরবর্তী গন্ডগোল (Violence after Bengal Election) নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চরম সংঘাত বেধেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বার শপথ নেওয়ার পরপরই সেই সংঘাত সপ্তমে উঠেছে। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তদন্ত করতে চার সদস্যের একটি দল গড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সেই দলের সদস্যরা সটান চলে এলেন কলকাতায়।