শনিবার ধৃত চিনা নাগরিকের হয়ে মালদা আদালতে হাজির ছিলেন তাঁর আইনজীবী জ্ঞানেন্দ্র দেওয়ান। তিনি বলেন, বৈধ ভিসা নিয়ে ওই চিনা নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। ভারতের বৈধ ভিসা তাঁর কাছে ছিল না। ভুলবশত সীমান্ত পেরিয়ে এপারে চলে এসেছিলেন। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনছে তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মালদহ জেলা আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর মেহতাব আলম বলেন, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন ওই চিনা নাগরিক। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাঁকে এক সপ্তাহের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালত ছয়দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে।
advertisement
এদিকে হান জুনওয়ের গ্রেফতারের পর উত্তর প্রদেশ এ টি এস এর তদন্তকারীরা মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। এটিএস সূত্রের খবর, সাইবারক্রাইম এবং আর্থিক প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওই চিনা নাগরিকের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই চক্রের ১৮ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। প্রায় দুই হাজার ভারতীয় সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। হান জুনওয়ে কেও খোঁজা হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে "ব্লু কর্নার" নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদনও জানানো হয়। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ আদালতে তাঁর "প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট" জারির আবেদন জানানো হতে পারে। চিনা নাগরিককে মালদা আদালতে তোলার সময় ব্যপক পুলিশী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। দিনভর পুলিশী নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিল মালদহ আদালত চত্বর।