আরও পড়ুন:শিল্পী-মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর! জোড়া কার্ডে চমক মমতার, দেখালেন কর্মসংস্থানে নয়া দিশা...
কিছুদিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে জিটিএ বাতিল করে নেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেন, তৃণমূল সরকার জোর করে জিটিএ-র নির্বাচন করতে চাইছে। পাহাড়বাসী তা চাইছে। দ্রুত আবার পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক কেন্দ্র ডাকুক বলেও দাবি তুলেছেন আর একেই কটাক্ষ করেছেন অনীত থাপা। তিনি বলেন, "গোর্খাল্যাণ্ডের নামে ভোট চেয়েছিলেন। তাই আজ আলাদা রাজ্যের কথা বলছেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। আর ওঁর দল বিজেপি তো গোর্খাল্যাণ্ড দেওয়ার ক্ষমতায় রয়েছে। ওঁর দাবী তোলার কথাই নয়। দাবি তো আমরা তুলবো। ওঁর দল দেবে।"
advertisement
আরও পড়ুন:বিএসএফ-এর কার্যকলাপ নিয়ে সরব মমতা, জেলাপুলিশ ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ
আজ কালিম্পংয়ের ডেলোতে এভাবেই কার্শিয়ংয়ের বিজেপি বিধায়ককে বিঁধলেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। তিনি বলেন, গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি ১০০ বছরের বেশি পুরনো। বহু আন্দোলন হয়েছে পাহাড়ে। কিন্তু কিছুই পায়নি পাহাড়। নতুন করে এই ইস্যুতে পাহাড়ে অশান্তি চাই না আমরা। সাংসদ রাজু বিস্তা সংসদে জিটিএ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেন, পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড উনি এনে দিলেই জিটিএ এমনিতেই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তাঁর দাবী, ২০১৭-র গোলমালের পর তারা পাহাড়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শান্ত রয়েছে পাহাড়। একদিনও বনধ হয়নি।
দ্রুত জিটিএ'র নির্বাচনের দাবি তুলেছেন অনীত থাপা। তিনি জানান, কিছুদিন আগেও বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা জিটিএ-র নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। আর এখন নির্বাচনী লড়াইয়ে পরাজয় নিশ্চিত জেনে অন্য ইস্যু তুলছেন। নির্বাচনে হার, জিত আছে। তবুও 'আমরাই এগিয়ে আছি' বলে দাবি অনীতের। জিটিএ'র পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে।অন্যদিকে মন্ত্রী ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আজই পাহাড়ে ফিরেছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি-রা। রাজ্যের পাশেই থাকার বার্তা দিয়েছে গুরুং শিবির।