মন্দিরের পুজারী পরিবারের এক সদস্য হেমন্ত দেব শর্মা জানান, “রাজ আমলের নিশিগঞ্জ বাজারের উত্তরপাশে ভোগমারা গ্রামে এই মন্দির স্থাপন করা হয়। যা আজও সকলের কাছে পরিচিত বুড়া বাবার ধাম বা মন্দির নামে। দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও আজও এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা কমেনি বিন্দুমাত্র। দূরদূরান্তের বহু ভক্ত রয়েছে এই মন্দিরে।’’ একটা সময় তাঁর বাবা এই মন্দিরের পূজারী ছিলেন, তারপর তাঁর দাদা পুজারী হন। আগামীতে হয়তো তিনি এই মন্দিরের পূজারী হবেন। তবে আজও এই মন্দিরের পুজোর কোনোও নিয়ম-নীতি পাল্টায়নি বিন্দুমাত্র।
advertisement
এলাকার স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা অনাথ বর্মন জানান, “কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের মা নিশিময়ী দেবীর জন্মস্থান এই এলাকায়। তাই সেখানে থেকেই এই এলাকার নাম হয় নিশিগঞ্জ। রাজ পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত এই এলাকা। কোচ রাজা বিশ্বসিংহের জন্ম হয়েছিল শিবের আশীর্বাদে। তাই কোচ রাজ্যের এলাকা গুলিতে শিবের আরাধনা বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই এলাকার একাধিক শিব মন্দির সেটার প্রমাণ।” এলাকার আর এক স্থানীয় বাসিন্দা রসনা বর্মন জানান, “এই মন্দির কিছুটা সংস্কার করা হয়েছিল। তবে আরও সংস্কার প্রয়োজন।”
আরও পড়ুন : আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণায় চোখে জল? রইল ঘরোয়া টোটকা! ব্যথা উপড়ে কষ্ট দূর! আরাম পাবেন নিমেষে
বর্তমান সময়ে মন্দিরের উপরের টিনের চাল জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া মন্দির চত্বরের দেওয়াল সম্পূর্ণ হয়নি আজও। তাই স্থানীয়রা দ্রুত এই মন্দির সংস্কারের দাবি তুলেছেন। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক উত্তর পাননি স্থানীয় মানুষেরা। তাই তাঁরা এবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্দির সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে।