এ বছর তাদের পুজোর পদার্পণ ৯৯তম বর্ষে। শহরের অন্য পুজো যেখানে থিমের বাহার আর নতুনত্বে মাতোয়ারা, সেখানে মিত্র সম্মিলনী আজও ধরে রেখেছে চিরাচরিত প্রথা। ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে দশমী পর্যন্ত চলে পুজো, আর নির্দিষ্ট তিথি মেনে বিসর্জন পর্বে হয় সমাপ্তি।
আমেরিকায় দারিদ্র্যের দিন শুরু! ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আরও এক ধাক্কা! নতুন রিপোর্টে ব্যাপক চাঞ্চল্য!
advertisement
কথিত আছে, একসময় দূর-দূরান্ত থেকে রাজা-জমিদারেরা ঘোড়ার গাড়ি কিংবা মোষের গাড়ি চেপে আসতেন এই পুজো দেখতে। শুধু পুজো নয়, সেই সময়ে দর্শকদের জন্য থাকত নাটক ও যাত্রাপালার বিশেষ আয়োজনও। চারদিন ধরে পুজোমণ্ডপ জমে উঠত সাংস্কৃতিক উৎসবে।
আজ সময় অনেক বদলেছে, জমিদার-রাজাদের উপস্থিতি আর নেই, থিমের প্রতিযোগিতার ভিড়েও মিত্র সম্মিলনীর পুজো রয়ে গেছে স্বতন্ত্র ছন্দে। তবুও কিছু জিনিসের মোহ এখনো অটুট। বিশেষ করে অষ্টমীর ভোগ। সকালে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে প্রসাদ বিতরণ। “আজও আমরা ভোগে সেই প্রথা ধরে রেখেছি,” জানালেন সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার মিত্র।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ভট্টাচার্যের চোখে-মুখে তখন আবেগ। তিনি বললেন, “এই পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং শহরের ইতিহাসের অঙ্গ। একসময় চা-বাগান থেকে জমিদারেরা এখানে এসে পুজো দেখার পাশাপাশি রাত্রিযাপনও করতেন। সেই স্মৃতিই আজও আমাদের গর্ব।”
সময় পাল্টেছে, শহরের পুজোতে এসেছে থিম আর আধুনিকতার ঝলক, কিন্তু মিত্র সম্মিলনী আজও দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহ্যের স্তম্ভ হয়ে। এই পুজো শুধু পুজো নয়, শিলিগুড়ির ইতিহাস, সংস্কৃতি আর আবেগের অঙ্গ। তাই প্রজন্ম বদলালেও ৯৯ বছরের এই পথচলা একটাই বার্তা দেয়, প্রথার শেকড় যত দৃঢ়, উৎসবের আনন্দও তত চিরন্তন।