নজরুল মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী ও নেতৃত্বকে স্বচ্ছতা বজায় রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর সেই নির্দেশের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ডুয়ার্সে ভাইরাল ঠিকাদার এবং তৃনমূল নেতার কথোপকথন একটি অডিও টেপ। যাতে শোনা যাচ্ছে গুন্ডা ট্যাক্স ( জি টি) চাওয়া নিয়ে তৃনমূল নেতা ও ঠিকাদারের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। সেই অডিও টেপ ভাইরাল হতেই জোড় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্স জুড়ে । ঘটনায় চরম অস্বস্তি শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। যদিও ওই অডিও টেপের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা।
advertisement
কাটমানির পর এবার গুন্ডা ট্যাক্স চাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠতে শুরু করল। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের অঞ্চল স্তরের নেতারা।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার বানার হাট ব্লকের অন্তর্গত সাকোয়াঝোড়া ১ নং গ্রামপঞ্চায়েতে মধুবনি এলাকায় পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি সেতু নির্মান হচ্ছে। সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে। যেই কাজের স্থানীয় ভাবে বরাত পেয়েছেন মহম্মদ সালাম নামে এক ঠিকাদার।
অভিযোগ তাঁর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। যার জেরে বর্তমানে এক প্রকার কাজ বন্দ করে দিয়েছেন উক্ত ঠিকাদার। অডিও টেপ অনুযায়ী, তৃণমূল নেতা ফোনের অপর পাশ থেকে বলছে দল চালাতে টাকা লাগে তাই পার্টি ফান্ডের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে।
ঘটনায় ব্লকের সাধারণ সম্পাদক গণেশ পালের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে। অঞ্চলের সহ সভাপতি আশিষ মণ্ডল ও যুব তৃণমূলের বাবাই নামে এক কর্মীর নামও উঠে এসেছে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন হুঁশিয়ারি দিচ্ছে কাটমানি এবং তোলাবাজি বন্ধের, তখন ডুয়ার্স এলাকায় শাসক দলের নেতাদের তোলা চাওয়ার অডিও টেপ ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: মাদককাণ্ডে নাম জড়ানো পামেলাকে বড় দায়িত্ব বিজেপি-র! দিলীপ ঘোষ যা বললেন...
মহম্মদ সালাম নামে ঠিকাদার বলেন, তাঁর কাছ থেকে জি টি / গুন্ডা ট্যাক্স দাবী করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি আশিষ মণ্ডল। টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি জেলা সভাপতিকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূলের সাকোয়াঝোরা-১ অঞ্চলের সহ সভাপতি আশিষ মন্ডলের সাফাই ''এটা প্রায় নমাস আগের ঘটনা। আমরা কোনও কাটমানি কিংবা গুন্ডা ট্যাক্স চাইনি। আমরা করোনা আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য চাঁদা চেয়েছিলাম। এতে আর দোষের কী আছে।''
আরও পড়ুন: মিলে যাচ্ছে এক্সিট পোল, উত্তর প্রদেশে ফের রমরমিয়ে যোগী-রাজের ইঙ্গিত!
ঘটনা প্রসঙ্গে সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সমীর পাল বলেন, ''যাদের নামে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। এবার আবার নতুন অভিযোগ। বিষয়টি আমি জেলা সভাপতিকে জানাব।''
----শেখ রকি চৌধুরী