বনদফতরের তরফে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে দুটি কুনকি হাতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে পর্যটকরা হাতির পিঠে জঙ্গল সাফারি করার বেশি করে সুযোগ পান। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হচ্ছে গরুমারা জঙ্গলের গভীরে থাকা গরুমারা বন বাংলো এবং চাপড়ামারির স্যাঞ্চুয়ারির গভীরে থাকা বাংলোটি। তবে ইকো ট্যুরিজম রিসোর্ট গুলি এখনই খোলা হচ্ছে না পর্যটকদের জন্য। কারণ ফায়ার প্রটেকশনের দিকগুলি খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলে দাবি বনাধিকারিকের।
advertisement
বন্যপ্রাণীদের প্রজননকালীন সময় ধরা হয় ১৫ ই জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়টিকে। পাশাপাশি এই সময় জঙ্গলে বর্ষার কারণে গাছপালা বেড়ে যায়। যেকারণে এই সময় পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে। জঙ্গলের গভীরে যাতে বন্যপ্রাণীরা তাদের প্রজননকালীন সময়ে যাতে কোনওভাবে বিরক্ত না হয়। তার জন্যই জঙ্গলে ঢোকা বন্ধ রাখা হয় বনদফতরের তরফে।
আরও পড়ুনঃ ‘মিটিং না করো ভিতরে এসো, চা খেয়ে যাও’, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বেনজির আতিথেয়তা, বরফ গলল?
সোমবার থেকে সমস্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জাতীয় অভয়ারণ্য খুলে যাচ্ছে পর্যটকদের জন্য। তিন মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার ফলে ডুয়ার্সের গরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সহ চাপরামারি, বক্সা, চিলাপাতায় সমস্ত বনাঞ্চলের গভীরে থাকা বনবাংলোগুলিতে পর্যটকদের থাকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই পর্যটকরা এই তিন মাস বন বাংলোগুলিতে ইচ্ছে থাকলেও রাত কাটাতে পারেননি। আগামিকাল থেকে ফের তারা জঙ্গলের গভীরে রাত্রিবাস, হাতির পিঠে সাফারি এবং জঙ্গল সাফারি সুযোগ উপভোগ করতে পারবেন।