লকডাউনের জেরে পাহাড়ে দেখা নেই পর্যটকদের। পর্যটন শিল্প কবে ছন্দে ফিরবে তা জানা নেই। আর তাই আগামী ১ জুলাই থেকে পাহাড়ের সব হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের কথায়, 'শাট ডাউন চলবে। মাথায় হাত পড়ে ১০ হাজারের বেশি হোটেল কর্মীর। এপ্রিল থেকে বেতন নেই। '
এগিয়ে আসে কর্মী সংগঠন। জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন তাঁরা। পাশাপাশি জিটিএ'র কাছে দরবার করেন কর্মীরা। দ্রুত এক দফায় হোটেল কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চালান জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা। আজ অর্থাত্ সোমবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে চলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। সেই বৈঠকে নরম সুর হোটেল মালিকদের। চাপে পড়তেই সিদ্ধান্ত বদল।
advertisement
কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই খুলে যাচ্ছে পাহাড়ের সব হোটেল। মেটানো হবে হোটেল কর্মীদের বকেয়া বেতনও। দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঙ্গে শিরিং ভুটিয়া জানান, পাহাড়ে পর্যটন শিল্পই অর্থনীতির প্রধান। দার্জিলিংকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা কখনওই শাট ডাউনের কথা বলিনি। কোভিড প্রোটোকল মেনেই চালু থাকবে দার্জিলিংয়ের সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি হোটেল। কর্মীদের বকেয়াও দ্রুত মেটানো হবে।
প্রতিটি হোটেলই স্যানিটাইজেশনের কাজ চলবে। জিটিএ'র চেয়ারম্যান অনীত থাপার বক্তব্য, হোটেল শাট ডাউন থাকতে পারে না। কোভিড নাইন্টিনের জেরে সমস্যা রয়েছে হোটেল মালিকদের। তার জেরে হোটেল বন্ধ হয় না কি! কর্মীরা বকেয়া বেতন পেল কি না সেদিকেও নজর থাকবে। না পেলে সংশ্লিষ্ট হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জিটিএ-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী সংগঠনের সদস্যরাও।
মঙ্গলবার থেকে হোটেল খোলার খবরে খুশির আবহ কর্মীদের মধ্যে। নইলে কর্মহীন হিয়ে পড়তেন ১০ হাজার হোটেল কর্মী। আজ অধিকাংশ দোকান, মল খুলেছে। কাল খুলছে হোটেলের শাটারও। এভাবেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার পথ খুঁজছে শৈলশহর।
PARTHA PRATIM SARKAR