সোমবার রাতে ফের রাস্তাটির চরিত্র বদল করে রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন জারি করে বলে দাবি মদ ব্যবসায়ীদের। রাজ্য সড়কের নাম বদলে করা হয় মেজর ডিষ্ট্রিক্ট রোড। আলিপুরদুয়ার চৌপথী থেকে অসম গেট পর্যন্ত রাস্তা আর এস এইচ- ১৬ মধ্যে থাকছেনা। সুপ্রিম কোর্টের করা নিয়মে ছিল রাজ্য সড়কের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোন বিদেশী মদের দোকান ও পানশালা থাকবেনা। সেই হিসেবে আলিপুরদুয়ারে বক্সা ফরেস্ট রোডে ৪ টি বিদেশী মদের দোকান ও একটি পানশালা ছিল।
advertisement
১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর দোকানগুলি বন্ধও হয়ে য়ায়। ৩ তারিখ ফের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কে পাশ কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের বক্সা ফরেস্ট রোড রাতারাতি স্টেট হাইওয়ে থেকে চরিত্র বদলে করা হয় মেজর ডিস্টিক্ট রোড। স্বাভাবিকভাবেই ওই মদের দোকানগুলি নিয়ে আর সমস্যা রইল না।
মঙ্গলবার যথারীতি দোকানগুলির ঝাঁপ আবার আগের মতই খোলা শুরু হল। এক বিদেশী মদের দোকান মালিক সুব্রত মিশ্র বলেন, রাস্তার চরিত্র পালটে গিয়েছে। আমাদের বিক্রি করতে আর বাধা নেই। আবগারী দফতর আমাদের লাইসেন্স রিনিউ করে দিয়েছে। আমরা সকাল থেকেই বিক্রি শুরু করে দিয়েছি। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ আলিপুরদুয়ারবাসী।
আই এন টিটি ইউসির জেলা সভাপতি প্রণব ব্যানার্জী বলেন,বক্সা ফরেস্ট রোড একটি হেরিটেজ রাস্তা।এটি রাজ্য হাইওয়ে ১৬ সড়ক। এটা পরিবর্তন করে করা হল মেজর ডিস্টিক্ট রোড। মদের দোকানকে বাঁচাতে রাজ্য সরকারের এই ভূমিকা নিন্দনীয়।
তিনি বলেন,সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ৫০০ মিটারের মধ্যে রাজ্য সড়কে কোন মদের দোকান থাকবেনা।গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।কিন্তু এটাকে পাশ কাটিয়ে রাস্তা টির ঐতিহ্য নষ্ট করে করা হল মেজর ডিস্টিক্ট রোড। এটা আমরা মেনে নেবনা। প্রয়োজনে আন্দোলন হবে।
একই বক্তব্য মানবিক মুখ এর সভাপতি রাতুল বিশ্বাসেরও ৷ তিনি বলেন,রাতারাতি মদের দোকানকে বাঁচাতে স্টেট হাইওয়ে হয়ে গেল মেজর ডিস্টিক্ট রোড। আমরা যাবতীয় কপি জোগাড় করে সুপ্রীম কোর্টে হাজির করাব। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ মানুষ। পূর্ত দফতরের বিভাগীয় ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ্ত চ্যাটার্জী বলেন, স্টেট হাইওয়ে বদলে মেজর ডিস্টিক্ট রোড করা হয়েছে।