এদিন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “এক মাস আগে আমি এখানে এসে ভাঙনের সমস্যার কথা শুনে গিয়েছি। তার পর তা বিধান সভায় তুলে ধরি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিতে সেচ দফতর জরুরি ভিত্তিতে এই কাজ শুরু করল। এই জন্য আমি বাংলার মা মাটি মানুষের সরকারকে ধন্যবাদ ও প্রণাম জানাচ্ছি।”
advertisement
জানা গিয়েছে লাগাতার পাড় ভাঙছিল তির তির করে বয়ে যাওয়া কুরমাই নদীর। ভুটান থেকে ধেয়ে আসা এই নদীর আতঙ্কে ভিটে মাটি হারা হচ্ছিল আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের চকোয়াখেতি গ্রাম পঞ্চায়েতের আট মাইল এলাকার মানুষেরা। ইতিমধ্যেই ৩০টি পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে। এছাড়া ফসলের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। নদীর সঙ্গে পেরে উঠছিল না এলাকার মানুষেরা। অবশেষে এই কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়রা খুশি।
এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা বীনা দাস অধিকারী বলেন, “অনেককেই আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অবশেষ বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল উদ্যোগ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে আমাদের বাঁচানোর জন্য এই কাজ অনুমোদন করিয়েছেন। আরও শক্ত বাঁধ হলে ভাল হতো। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে এই কাজে আমরা খুশি।”
আরও পড়ুনঃ ভুটান পাহাড়ে অঝোরে বৃষ্টি, তোর্সার জল গিলতে আসছে নদী পাড়ের মানুষদের, জয়গাঁতে ভয়াবহ দৃশ্য
স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র রায় বলেন, “ভুটান থেকে ধেয়ে আসা বিভিন্ন নদী এই এলাকায় ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে মানুষের সম্পদ ও প্রাণ বাঁচানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা খুশি। ”
স্থানীয় আর এক বাসিন্দা লতিকা বর্মন অধিকারী বলেন, “এলাকার প্রায় ৩০টি পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে অন্যত্র সরে চলে গিয়েছে। অনেকের ফসলের খেত নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এই নদীর পার বাঁধের কাজ হওয়ায় আমরা খুশি। নাহলে গোটা এলাকাকে গিলে খেত এই নদী।”