শিলিগুড়ির একটি সংস্থার মহিলারা আলিপুরদুয়ারে আসেন। তারা আলিপুরদুয়ার জংশন কালীবাড়ি শ্মশানে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে থাকা ১৮ টি বেওয়ারিশ দেহ সৎকারের দায়িত্ব নেন। শ্মশানে দাঁড়িয়ে থেকে ওই সংস্থার সৎকার কাজে সহযোগিতা করেন জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মন্ডল। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির ওই সংস্থার কাজে আমরা অভিভূত। এখন পর্যন্ত নয়টি মৃতদেহ রীতি মেনে সৎকার করা গিয়েছে। মর্গে মোট ১৮ টি মৃতদেহ ছিল। ৯ টি মৃতদেহ সৎকার করা হল। অন্যান্য মৃতদেহগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
advertisement
উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই থেকে আলিপুরদুয়ার শহরের শ্মশানের বৈদ্যুতিন চুল্লি বিকল হয়ে রয়েছে। আর তার জেরে ওই শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করা যাচ্ছে না। বৈদ্যুতিন চুল্লিতে মৃতদেহ দাহ করার কাজ বন্ধ থাকায়, জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে ১৮টি দেহ জমে ছিল। যার ফলে পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠছিলেন এলাকার মানুষ থেকে জেলা সদর হাসপাতালের রোগী , রোগীর আত্মীয় ও হাসপাতাল কর্মীরা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে শিলিগুড়ির একটি সংস্থা বিনা পারিশ্রমিকে দেহ দাহ করার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসে। আর তারপরেই এদিন সকাল থেকে মৃতদেহ দাহ করার কাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন : কাজ করতে গিয়েই বিপদে! হরিয়ানায় দুই ভাইকে আটকাল পুলিশ, কারণ শুনলে চমকে যাবেন
কিন্ত মাঝ পথে বাঁধা দিতে থাকেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ প্রশাসন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসন গিয়ে সকলকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আবার মৃতদেহ সৎকারের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় রবিদাস বলেন, গ্রামবাসীরা বাঁধা দিচ্ছেন শুনে আমি এলাকায় এসেছি। তবে সকলকে বুঝিয়ে আবার মৃতদেহ দাহ করার কাজ শুরু হয়েছে। এটি একটি সামাজিক কাজ। সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন : লাথি, চর, ঘুষি…! মাছ চুরির অপবাদে বেলঘরিয়ায় যুবককে মারধর, কাঠগড়ায় ‘প্রভাবশালী
এদিকে মৃতদেহ দাহ করার দায়িত্ব নেওয়া সংস্থার নেত্রী কাবেরী চন্দ্র সরকার বলেন, আমরা নিঃস্বার্থভাবে সামাজিক কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে কোথায় কী সমস্যা আছে ,তা বলতে পারব না। তবে কিছু মানুষ বাঁধা দিয়েছেন। আবার অন্য কিছু সমস্যাও হয়েছে।