তিনি বলেন, “বেসরকারি এক্স-রে ল্যাবগুলো অত্যাধিক হারে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ আমার কাছেও এসেছে। নির্দিষ্ট করে কোনও বেসরকারি ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। জেলা স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখুক এই আবেদন করছি। হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দ্রুত সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
advertisement
জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে পিপিপি মডেলে একমাত্র ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চলে। হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা এই একটি এক্স-রে মেশিনের উপর নির্ভরশীল। এমনকি বাইরে বেসরকারি ডাক্তার দেখিয়েও রোগীরা কম খরচে জেলা সদর হাসপাতালে এক্স-রে করাতে পারেন। গত ৬ নভেম্বর এই মেশিন খারাপ হয়ে যায়। ফলে এখন কেউই পরিষেবা পাচ্ছেন না।
হাসপাতালে এক্স রে করাতে আসা রাজেশ রায় বলেন, “প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে রয়েছে। সামান্য পা মোচকে যাওয়ার এক্স-রে করাতে ৫০০ টাকা নিয়ে নিল বেসরকারি এক্স রে ল্যাব। হাসপাতালে এটা বিনা পয়সাতেই করতে পারতাম। এমন চললে আমরা গরিব মানুষরা কীভাবে চিকিৎসা করাব! আর এক্স-রে জরুরি প্রয়োজনেই করতে হয়।”
বিষয়টি নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মন্ডল বলেন, “একটি পার্টস চলে এসেছে। বাকি দু’টো পার্টসও বিদেশ থেকে চলে আসবে। ইঞ্জিনিয়াররাও চলে এসেছেন। আগামী ২-৩ দিনে মেশিন ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।“
