জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মন্ডল বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস এক্- রে বন্ধ ছিল। সকলেরই অসুবিধে হচ্ছিল। আমাদের হাসপাতালের ইন্ডোর ও আউটডোরের রোগীদেরও অসুবিধে হচ্ছিল। অবশেষে সেই অসুবিধে দূর হল। সকলেই খুশি।’
আরও পড়ুনঃ বছর শেষে বারাসাত পুলিশ জেলায় সাইবার অপরাধের খতিয়ান প্রকাশ! ২০ কোটি জালিয়াতি মাত্র ২৬ শতাংশ উদ্ধার
advertisement
খুশি রোগী ও তাদের আত্মীয়রাও। আলিপুরদুয়ার শহরের বাবুপাড়ার বাসিন্দা পিযুস মন্ডল এদিন জেলা হাসপাতাল থেকে এক্স-রে করান। তিনি বলেন, ‘এতদিন হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন খারাপ ছিল শুনেছি। সকলের খুব অসুবিধে হচ্ছিল। আমি এদিন হাসপাতালে বিনা পয়সায় এক্স-রে করালাম। এই এক্স-রে বাইরে থেকে করলে ৩০০ টাকা লাগত। ফলে এক্স-রে মেশিন চালু হয়ে যাওয়ায় সকলের সুবিধে হল।’
জানা গিয়েছে, জেলা সদর হাসপাতালে পি পি পি মডেলে একমাত্র ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চলে। এই একটি এক্স-রে মেশিন থেকে হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোর পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা পরিষেবা পান। এমনকি বাইরে বেসরকারি ডাক্তার দেখিয়েও রোগীরা কম খরচে জেলা সদর হাসপাতালে এক্স-রে করাতে পারেন। কিন্তু ৬ নভেম্বর এই একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি খারাপ হয়ে যায়।
এক্সরে মেশিন খারাপ হওয়ায় কেউই পরিষেবা পাচ্ছিলেন না। এই সুযোগে বেসরকারি এক্স-রে ল্যাবগুলো চড়া হারে এক্স-রের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে থাকে। সেই খবরও তুলে ধরেছে নিউজ ১৮ বাংলা। অবশেষে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন চালু হয়ে যাওয়ায় খুশি সকলেই।
