জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের করা একটি মামলায় এই রায় দেন বিচারক। রায়ের পরেই ভিডিও বার্তা দিয়ে বন্যজন্তু ও তার দেহাংশ পাচারকারিদের হুশিয়ারি দিয়েছেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভীন কাশোয়ান। তিনি বলেন, ‘শুধু এদিনের তিন জন নয়, গত তিন মাসে আমাদের করা মামলায় ১৩ জনকে কঠোর সাজা শুনিয়েছে আদালত। এই কারণে আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। বন্যজন্তু ও তার দেহাংশ পাচারকারিদের আমরা বলতে চাই আমরা আপনাদের উপর নজর রাখছি। সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুন, না হলে আপনাদের অবস্থাও একই রকম হবে। কারণ তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও আদালতে পেশের ক্ষেত্রে আমাদের কর্মীরা অত্যন্ত দক্ষ।’
advertisement
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ২২ মে জলদাপাড়া জঙ্গল লাগোয়া খয়েরবাড়ি রোডে একটি দামি গাড়ি আটক করে বন দফতর। সেই গাড়িতে থাকা দু’জনকে গ্রেফতার করেন বনকর্মীরা। তাদের নাম তাপস বর্মন ও দীপঙ্কর মন্ডল। তাপসের বাড়ি কোচবিহার জেলার রাজপুর গ্রামে। দীপঙ্কর কোচবিহার জেলার চান্দামারি এলাকার বাসিন্দা। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই গাড়ি থেকেই একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার হয়।
এরপর ঘটনার তদন্ত নেমে কোচবিহার জেলার রাজারহাটের বাসিন্দা ভূপেন বর্মনের খোঁজ পায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অ্যান্টি ক্রাইম টিম। ওই বছর ৩১ মে ভূপেনকে গ্রেফতার করে বন দফতর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি জানান, আলিপুরদুয়ারের মথুরা চা বাগানে মাটির নিচে চিতাবাঘের চামড়া ও হার লুকিয়ে রাখা আছে। পরে মাটি খুঁড়ে সেগুলো উদ্ধার করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
এই তিনজনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইন ১৯৭২ অনুযায়ী মামলা করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় মঙ্গলবার রায় দিল আদালত। তবে অভিযুক্তরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ্য হবেন বলে জানা গিয়েছে।
