তাদের অভিযোগ, প্রতিবার নির্বাচন এলে সামনে পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্যের কথা বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে পদপ্রার্থীরা। পাঁচ বছর কাটিয়ে চলেও যান। কিন্তু দাবী আদায় দূরে থাক, লোকসভার অধিবেশনে পর্যন্ত জোরালো আওয়াজ তোলেন না নির্বাচিত সাংসদেরা। রাজু বিস্তা আড়াই বছর হল সাংসদ রয়েছেন, কিন্তু গোর্খাদের দীর্ঘদিনের দাবী নিয়ে নীরব। অথচ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্যে তিনিও দাবীর স্বপক্ষে সুর মিলিয়েছিলেন। উনি যদি এখানকার বাসিন্দাদের আবেগকে গুরুত্ব না দেন, তাহলে পদত্যাগ করুন। দাবী এবিজিএলের।
advertisement
তাদের অভিযোগ, অহেতুক পাহাড়বাসীর সঙ্গে ধোঁকা নয়। বারবার নির্বাচনের জন্যে পাহাড়বাসীকে ব্যবহার করা হয়েছে। এখানকার ভাবাবেগ নিয়ে ছেলে খেলা করা হচ্ছে। আজ দার্জিলিং প্রেস গিল্ডে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবী জানান দলের সাধারন সম্পাদক এস পি শর্মা। তিনি বলেন, এখন সমতলে বিজেপিরই সাংসদ জন বার্লা পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠন নিয়ে সরব হয়েছেন। আবার দলেরই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, বাংলা ভাগ হবে না। বিজেপির দু'মুখো নীতি প্রকাশ্যে আসছে। আর পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্য নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই এখানকার নির্বাচিত সাংসদদের। সেই ২০০৯ সালে যশবন্ত সিনহা, ২০১৪-তে এস এস আলুওয়ালিয়া এবং এবারে রাজু বিস্তাকে জয়ী করেছে পাহাড়বাসী। বার বার বিজেপি জিতে আসছে এই আসনটি। কিন্তু পাহাড়বাসীর দাবী সেই তিমিরেই। দার্জিলিং দিয়ে পোস্টারিং শুরু, আগামীদিনে পাহাড়জুড়ে সাংসদের পদত্যাগের দাবীতে পোস্টার পড়বে। এই ইস্যুতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবিজিএল।