ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছিল একুশের বিধানসভা ভোটের প্রার্থী পদ নিয়ে। দার্জিলিং আসনে অজয়কেই প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন তাঁরই অনুগামীরা। কিন্তু শেষে মন ঘিসিং ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করেন নীরজ জিম্বাকেই। তারপর থেকেই দূরত্ব বাড়তে থাকে ঘিসিং ও এডওয়ার্ডের মধ্যে। নিজে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করা মাত্রই জিএনএলএফ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পাহাড়ে। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক, কালিম্পংয়ের শহর ও গ্রামীন এলাকায় একে একে দল ছাড়েন তাঁর অনুগামীরা। টানা ৩ মাস পাহাড় চষে বেড়ান অজয়। নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পাহাড়ের অসহায়, দুঃস্থদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। ধসে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশেও দাঁড়ান সাধ্যমতো। ওই সময় ঘোষণা করেছিলেন নতুন দল গড়বেন এবং তা হবে পাহাড়বাসীর সমর্থন নিয়েই। সেইমতো দলের নাম কি হবে তাও ছেড়ে দেন পাহাড়বাসীর ওপরই। ২০০-এর বেশী নাম আসে তালিকায়। তার মধ্য থেকে চারটে নাম বেছে নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির তনুশ্রী যেন রূপোলি পর্দার 'শবরী'! মহিলা পুরোহিতের হাতে সম্পন্ন প্রথম বিয়ে
কী সেই চারটি নাম? জনশক্তি, জনতা আন্দোলন পার্টি, জন আওয়াজ এবং হামরো পার্টি। ওই চারটে নামের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটাভুটি শেষে চূড়ান্ত হয় দলের নাম। আজ নিজেই ঘোষণা করেন, নয়া দলের নাম 'হামরো পার্টি"। দলের পতাকা রঙ সাদার মধ্যে নীল দিয়ে খুকরির প্রতীক এবং শান্তির প্রতীক উড়ন্ত পাখি। নয়া দলের কমিটি ঘোষণা না হলেও কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। আপাতত কোনও দলকেই সমর্থন নয়। এককভাবেই জিটিএ, পুরসভা, পঞ্চায়েত-সহ স্কুল, কলেজের পরিচালন সমিতির নির্বাচনেও লড়বে হামরো পার্টি। মূল লড়াই পৃথক গোর্খাল্যাণ্ড রাজ্য আদায়। অজয় জানান, গত ৩৫ বছরে পাহাড়বাসী স্রেফ প্রতিশ্রুতি আর ধোঁকা খেয়ে এসেছে। আর নয়। অহিংস আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দাবী আদায় করা হবে।
Partha Sarkar