পাহাড়ে গনতন্ত্র বাঁচাতে অনীত বিরোধী জোট গড়ার ডাক দিলেন এডওয়ার্ড। সেই জোটে জিএনএলএফ সুপ্রিমো মন ঘিসিংকেও আহ্বান জানালেন তিনি। ঘিসিংয়ের সঙ্গে মন কষাকষি করেই জিএনএলএফ ছেড়ে ১ বছর আগে নয়া দল গড়েছিলেন এডওয়ার্ড। আজ অবশ্য তিনি বলেন, এবারে অনীতকে হারাতে মনকেও কিছুটা মাথা ঝোঁকাতে হবে। আমিও ঝোঁকাবো।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে জনসংযোগে তৃণমূলের নয়া প্রচার কৌশল 'উঠোন বৈঠক'
advertisement
সেই জোটে বিমল গুরুংকেও আহবান জানিয়েছেন হামরো পার্টির প্রধান। ডাক দিয়েছেন অনীত বিরোধী পাহাড়ের তৃণমূল নেতা জিটিএ সভাসদ বিনয় তামাংকেও। পাহাড়ে আসন্ন পঞ্চায়েত এবং তিন পুরসভার নির্বাচনে একদিকে অনীত অন্যদিকে পাহাড়ের গোর্খা দলগুলিকে একমঞ্চে নিয়ে লড়ার আহ্বান জানালেন এডওয়ার্ড। পাশাপাশি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নিয়ে গুরুংয়ের ডাকে দিল্লির সভায় যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
এমন কি, পাহাড়ে গোর্খাদের দাবি নিয়ে অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্বও দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত হামরো পার্টি ভাঙিয়ে দার্জিলিং পুরসভা দখলের পথে অনীতের বিজিপিএম। এমন কি, জিটিএ-তেও হামরোর দুই সভাসদকে দলে টেনেছেন অনীত। তবে অনীত এবং তাঁর দল নিয়ে ভীত নন বলে দাবি এডওয়ার্ডের।
তৃণমূল নেতা গৌতম দেব অবশ্য বলেন, "ওর নিজের দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ওকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা ওদের দুই দলের বিষয়। এর মধ্যে তৃণমূল থাকবে কেন? এটা তো ওর ব্যর্থতা। নিজের দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ধরে রাখতে পারছে না। তার দায় তৃণমূলের উপরে কেন?"
আরও পড়ুন: বিজেপি-র সঙ্গে জোট, নন্দকুমার মডেল ঠেকাতে দশ নেতাকে বহিষ্কার করল সিপিএম
তিনি এও বলেন, রাজ্য চায় পাহাড়ের উন্নয়ন, শান্তি, গনতন্ত্র। কেন্দ্রের উচিৎ পাহাড়কে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া।
অনীত থাপার দল বিজিপিএম-এর কেন্দ্রীয় মুখপাত্র এস পি শর্মা বলেন, "ওর দলের আরও কয়েকজন কাউন্সিলর এবং জিটিএ-র সভাসদ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দলে যোগ দেওয়ার জন্যে। নিজের দল ধরে রাখতে পারছে না। একটা হতাশায় আছে ও। সেই হতাশা থেকেই আজকের এই ধরনের মন্তব্য। আর দায় চাপাচ্ছে অনীত থাপা এবং আমাদের দলের উপর। ওর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আর ও তো ২০১৯-এ রাজু বিস্তার সঙ্গে ভোট প্রচারে ছিলেন। ২৪-এর আগে ফের নয়া কৌশল নিচ্ছে। এতে গোর্খা জাতিরও উন্নতি হবে না। ওরও কিছু হবে না।"