পুণ্যতোয়া আত্রেয়ী নদীতে স্নান করে ভোর থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। স্নান সেরে জোড়া ডাব, সুপরি আবার মটর ডাল নিয়ে মন্দিরে জনসমুদ্র উপচে পড়েছে পুণ্যার্থীদের। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাধারণ মানুষ নিজের সাধ্য অনুযায়ী চাল, ডাল-সহ বিভিন্ন সবজি রামের উদ্দেশে উৎসর্গ করছে। কথিত, অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে রামের একটি মূর্তি এনে এক সন্ন্যাসী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে প্রতি বছর তিন দিন ব্যাপী রামনবমীর দিন থেকে রঘুনাথের মেলা বা মান্দার মেলা ও পুজোর আয়োজন হয়ে আসছে।
advertisement
এ বিষয়ে মেলা কমিটির সদস্য জানান, “রঘুনাথের নামে কেউ কোনও মানত করলে তাঁর মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই পুজোয় খাজা বাতাসা বা সন্দেশ ভোগ ছাড়াও ডাব দিয়ে পুজো দেওয়ার একটা চল রয়েছে। তবে, এই পুজোয় রীতি রয়েছে এই পুজো ও মেলার প্রধান ভোগই হল জোড়া ডাব। অনেকে আবার সুপারি ও মটর ডালও মানত করেন। তাই মানত পূর্ণ হলেই ভক্তবৃন্দ জোড়া ডাব বা সুপারি, মটর ডাল নিয়ে রামের চরণে অর্পণ করেন।”
এমনকি এই মেলাতে আসা ভক্তদের পক্ষ থেকে জানা যায়, এখানে মানত করলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ হবার কারণে বছর বছর বহু দূর-দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ভিড় জমান। এদিন বাবা রঘুনাথের পুজো উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে বসে মেলা। মেলার প্রথম দিনেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। ভিড় সামাল দিতে একরকম হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। পাশাপাশি এই মেলাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা যথেষ্ট লক্ষ করা যায়।