তিনি বলেন, "বিরোধী দলের কাউন্সিলররাও আমাদের দলে আসতে চাইছেন। আলোচনা চলছে। দ্রুত ছবি স্পষ্ট হয়ে যাবে।" তিনি নাম না করে অজয় এডওয়ার্ডকেও আক্রমণ করে বলেন, "দার্জিলিং পুরসভা চলছিল রিমোট দিয়ে। তাই আজ হামরো পার্টি ছেড়ে কাউন্সিলররা আসছেন। দ্রুত বোর্ড গঠন হবে।" সূত্রের খবর, দার্জিলিং পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন সদ্য হামরো পার্টি ছেড়ে আসা বিষ্ণু মল্ল।
advertisement
যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি অনীত। তাঁর দাবী, "দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে। কাউন্সিলররাও থাকবেন।"
অজয় এডওয়ার্ডের তোলা টাকা ছড়িয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগ উড়িয়েছেন অনীত। তাঁর কথায়, "আমাদের দল ছেড়েও অনেকে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। আমরা কাউকে দোষারোপ করিনি।"
আরও পড়ুন, 'বিজেপির কাজ!' নিজের নিখোঁজ পোস্টার দেখে রেগে আগুন তৃণমূল কাউন্সিলার
অন্যদিকে এদিন পালটা অনীতকে আক্রমণ করেন পুরসভার চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেল। অনীত থাপাকে 'কোভিডের চাইতেও ভয়ানক জীবাণু' বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, "ক্ষমতায় থাকার জন্যে উনি সব কিছুই করতে পারেন। পাহাড়ে অবৈধ বিল্ডিং ভাঙার কাজে হাত দেওয়ায় চাপে পড়েন অনীত। তড়িঘড়ি দল ভাঙানোর খেলায় নেমে পড়েন। কেননা ঠিকাদারদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বসেছিলেন অনীত থাপা। সেই টাকা দিয়েই বিরোধী শিবির ভাঙছেন।"
আরও পড়ুন, 'ছেলেকেও জঙ্গি নামে ডাকেন?' পড়ুয়াকে জঙ্গি বলার অভিযোগে শিক্ষককে প্রশ্ন ছাত্রের
তিনি আরও বলেন, "আসলে দার্জিলিংয়ের রাজনীতিতে এখন টাকার খেলা চলছে। যাঁর হাতে টাকা, আর ক্ষমতা রয়েছে, সেই মসনদে বসবেন। জনতার রায়ের কোনও দাম নেই। তবে এই রাজনীতি বেশীদিন চলতে পারে না। ওঁনার ভবিষ্যতও ভালো হবে না। ওঁনাকে তো কয়েকজন নেতা আর ঠিকাদারেরা রিমোট দিয়ে পরিচলনা করছেন। পদ বড় কথা নয়, একজন সাধারন কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার উন্নয়ন করে যাব।"