সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আমার পুরনো দল তৃণমূলেই ফিরতে চাই। ভুল বুঝিয়ে বিজেপি তাঁদের দলে নিয়েছিল আমাকে। আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই দলে ফিরতে চাইছি। দলের জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। দরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাব।' তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের যখন যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানেই দলের পাশে দাঁড়াবেন তিনি।
বস্তুত, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির অনুকূলে যে দলবদলের খেলা ছিল, তা ফলের পরই ঘুরে গিয়েছে তৃণমূলের দিকে। একদা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যাওয়া নেতারা ফিরতে চাইছেন পুরনো দলে। বাংলার ভোটের ফল প্রকাশের দিনই স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দলত্যাগীরা দলে ফিরতে চাইলে স্বাগত। এরপরই কার্যত তৃণমূলে ফেরার ধুম পড়ে গিয়েছে।
advertisement
এর মধ্যে সবার আগে সোনালি প্রকাশ্যে এভাবে মুখ খুলেছেন। তারপর একই পথে হাঁটলেন সরলা মুর্মুও। ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। জল্পনা রয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও। শুভেন্দু অধিকারীর পর যাঁর দলবদল নিয়ে সবথেকে বেশি শোরগোল হয়েছিল বাংলায়, তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু ভোটে নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড়েই হেরে গিয়েছেন তিনি৷ এর পর থেকেই কিছুটা অন্তরালে রয়েছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী৷ যদিও ফলপ্রকাশের পরই ইঙ্গিতবাহীভাবে তিনি বলেছেন, 'যতদিন বাঁচব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করে যাব।' তাহলে কি পুরনো দলেই ফিরছেন? রাজীবের কৌশলী জবাব, 'এখন আমি করোনার মোকাবিলায় ব্যস্ত আছি, এই সময় রাজনীতির কথা বলব না৷'