TRENDING:

প্রিয়রঞ্জন নেই, দাশমুন্সিদের ঠাকুরদালান কেঁদে চলেছে আজও

Last Updated:

ষষ্ঠী থেকে দশমী, তখন তিনি ঘরের ছেলে। পাশের বাড়ির ছেলে। পুজোয় মগ্ন। পুরনো সেই দিনের কথা বার বার মনে পড়ে যায় কালিয়াগঞ্জের। তখন পুজোর দিনগুলি ছিল একেবারে অন‍্যরকম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কালিয়াগঞ্জ: তিনি ছিলেন তারকা। তিনি ছিলেন পাশের বাড়ির ছেলে। তিনি ছিলেন পুজোর মূল আকর্ষণ। তিনি নেই। তাই এবার পুজোও হল না। মন ভাল নেই কালিয়াগঞ্জের। তার প্রিয় প্রিয়রঞ্জনই যে নেই!! তিনি ছিলেন, তখন পুজোয় ছিল আনন্দে ভেসে যাওয়া। তিনি নেই, ঠাকুরদালানটা আজ শূন‍্য ৷ তিনি ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের সকলের প্রিয়। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। পুজোর সময় ঠিক চলে আসতেন শ্রীকলোনিতে। ছোটবেলার বাড়িতে। ষষ্ঠীতে প্রিয়দা বস্ত্র বিতরণ করতেন। প্রিয়দা শান্তিতেচার দিন কাটাতেন। সবার সঙ্গে কথা বলতেন ৷ ষষ্ঠী থেকে দশমী, তখন তিনি ঘরের ছেলে। পাশের বাড়ির ছেলে। পুজোয় মগ্ন। পুরনো সেই দিনের কথা বার বার মনে পড়ে যায় কালিয়াগঞ্জের। তখন পুজোর দিনগুলি ছিল একেবারে অন‍্যরকম। ঢাকের তালে মন নেচে উঠত....
advertisement

রাজনীতির জগতে তিনি ছিলেন তারকা। তিনিই ছিলেন দাশমুন্সি পরিবারের পুজোর চুম্বক। প্রিয়রঞ্জনের পুজোয় তখন কালিয়াগঞ্জে ভিআইপিদের ভিড়। প্রিয়দা এলে কালিয়াগঞ্জে উজ্জ্বল নক্ষত্ররা আসতেন, বাড়িটা যেন পার্লামেন্ট হয়ে উঠত। গাড়িতে ভর্তি হয়ে থাকত। আজ সব অন্ধকার ৷

দুর্গাপুজো এলেই কালিয়াগঞ্জের মনে পড়ে যায় ২০০৮ সালের কথা। সেবারও পুজোয় মেতে ছিলেন প্রিয়। হঠা‍ৎ যে কী হল! অষ্টমীতে শরীর খারাপ। আর ভাল হননি। কয়েক বছর দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত বছর সেই লড়াইয়ের সমাপ্তি। ঘরে ফিরেছিল ঘরের ছেলের নিথর দেহ। এত বছর তিনি বাড়ির পুজোয় ছিলেন না। তবু বেঁচে তো ছিলেন। দাশমুন্সি ভিলায় পুজো না হলেও ঘট পুজো হত। গত বছর নভেম্বরে মারা যান প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। এবার তাই প্রিয়র বাড়ির পুজোও বন্ধ।

advertisement

এবার পুজো হচ্ছে না। ঘট পুজোও হবে না। কাঠামো পুজোও হয়নি। ভাইরা কেউ আসছেও না ৷ প্রিয় নেই। তাই পুজো এলেও মন ভাল নেই শ্রীকলোনির। যে বাড়ি পুজোর সময় গমগম করত, আলোয়-আনন্দে ভেসে যেত, সেই বাড়িই আজ ফাঁকা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রিয়দা নেই, সেই পুজোও নেই। রাজাও নেই, সেই রাজত্বও নেই। শ্মশানের নিস্তব্ধতা মনে হয়। মন খারাপ হয়। পুজো এলেও কালিয়াগঞ্জ সেই আনন্দ হয় না ৷ বাঙালির কাছে দুর্গা পুজো তো শুধুই পুজো নয়। এ এক প্রাণের উৎসব। এই পুজো কত কিছু ভুলিয়ে দেয়। কত কিছু মনে করিয়ে দেয়। কালিয়াগঞ্জেরও মনে পড়ে যায়। পুজো এলেই মনে পড়ে যায় প্রিয় মানুষটিকে। প্রিয়রঞ্জনকে। তাঁর সেই ফেলে আসা পুজো, আজ যেন নিভে যাওয়া পুজো।।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
প্রিয়রঞ্জন নেই, দাশমুন্সিদের ঠাকুরদালান কেঁদে চলেছে আজও