প্রসঙ্গত পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান জিটিএর চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা, হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। গত ২৬ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তারা। পাহাড়ের অন্যান্য দলগুলিও একই দাবি তোলে। এতে পাহাড়ের গ্রামীন এলাকাতেও নির্বাচিত বোর্ড কাজের সুযোগ পাবে এবং উন্নয়নমূলক কাজও হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাকে স্বাগত জানান অনীত থাপা।
advertisement
আরও পড়ুন - প্রথমে বাড়িতে ভাব জমানো তারপর আলমারির সব গয়না সাফ, নাটকীয় প্লট ফাঁস করল পুলিশ
তাঁরা নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুত বলেও দাবি করেছেন। স্বাগত জানিয়েছে হামরো পার্টিও। নির্বাচনের প্রস্তুতিতেও নেমে পড়বে তারাও। দার্জিলিং, কার্শিয়ং, মিরিক এবং কালিম্পং এই চার মহকুমার গ্রামীন এলাকায় নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন - Health Tips: শুধু স্বাদের জন্য নয়, গুণেও একেবারে কামাল ‘এই’ আচার, ১০ মিনিটেই বানিয়ে নিন
আগে পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে একটি জেলা পরিষদ ছিল। ১৯৮৬-র আন্দোলনের পর পাহাড়ি এলাকা নিয়ে তৈরি হয় দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল। ১৯৮৯ সালে জেলা পরিষদ ভেঙে যায়। গঠিত হয় পৃথক শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। তার আওতায় ছিল সেবক সহ পাহাড়ের কিছু এলাকা। পরবর্তীতে আয়াওন পুনর্বিন্যাস করে সেবক বাইরে চলে যায়। ২০১১-তে রাজ্যে পালাবদলের পর গঠিত হয় গোর্খাল্যাণ্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। ২০১২-তে নির্বাচন হয়। ক্ষমতায় আসে বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৭-তে ফের পৃথক রাজ্যের দাবীতে আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে। ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসে পাহাড়ে।
১০ বছর বাদে চলতি বছরেই জিটিএর নির্বাচন হয়। তার আগে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন হয়। এখন পাহাড়ের বাকি ৩ পুরসভা মিরিক, কার্শিয়ং এবং কালিম্পংয়ের ভোট বাকি। এরই মাঝে ২২ বছর বাদে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন নোটিফিকেশন জারি করতেই উৎসবের আবহ গ্রামীণ এলাকায়।
Partha Sarkar