আগামীদিনে যা চিন্তার কারণ রাজ্যের কাছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য নেওয়া হচ্ছে আইআইটি রুরকির। বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ জে আহমেদ নিজে রিপোর্ট প্রস্তুত করবেন। আগামীদিনে এই চর বাঁচাতে ও মালদা-মুর্শিদাবাদ বাঁচাতে আস্থা সেই প্রযুক্তির রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, উত্তর ভারত ও বিহারে ভারী বৃষ্টির কারণে জল আরও বাড়তে চলেছে গঙ্গায়। গঙ্গার অববাহিকা দিয়ে ২৬ লক্ষ কিউসেক জল প্রবাহিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে গঙ্গা নদীর জলস্তর কয়েক মিটারের বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে।
advertisement
গঙ্গা, ফুলহার এবং কোশি নদী দিয়ে ঘেরা মানিকচক ব্লকের ভুতনির উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুর পঞ্চায়েত। ভূতনিকে ভাঙন থেকে রক্ষা করতে কয়েক দশক আগে রিং বাঁধ তৈরি হয়েছিল। বছর চারেক আগে হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতের কেশরপুর ও কালুটোনটোলায় বাঁধের একাংশ গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ওই বাঁধের পিছন দিকে হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতের তরফে একটি ছোট বাঁধ তৈরি হয়। গঙ্গার রিং বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ওই বাঁধকে মজবুত করে সেচ দফতর।
রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া জানিয়েছেন, মালদার ভূতনি নিয়ে কত কাজ করলাম তাও বাঁধ ভেঙে গেল। এই মুহূর্তে গঙ্গা আর ফুলহার মাত্র ৪৫০ মিটার দূরত্বে চলে এসেছে। সমস্ত টেকনিক্যাল স্টাডিজ চলছে। আইআইটি রুরকির জে আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা অ্যাকোয়াস্টিক ডপলার স্টাডি করেছি। গঙ্গার ভেলোসিটি, দিক বদল, ঘূর্ণি সব দেখা গেছে। ৫ পুরানো গতিপথ গঙ্গা আবার ফেরাচ্ছে।