সোমবার শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে এ কথা জানান প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। তাঁর দাবী, মহাসংকটে রয়েছে রাজ্য এবং দেশ। কালা কৃষি বিল থেকে বেকারত্ব বাড়ছে। উলটে দূর্ণীতি বাড়ছে দেশজুড়ে। রাজ্যও তার বাইরে নয়। তাই শুদ্ধ হতে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যানেরা যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। যা তৃণমূল ছিল, তাই আজ বিজেপি। রাজ্যের সাধারন মানুষ এঁদের আর চাইছেন না। বাম এবং কংগ্রেস জোটই একমাত্র বিকল্প।
advertisement
তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ের তিন বিধানসভা নিয়ে দল পরে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সমতলের তিনটি এবং লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি আসনে রফা হয়ে গিয়েছে। ২০১৬-র মতোই শিলিগুড়ি ও ডাবগ্রামে লড়বে বামেরা। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়ায় লড়বে কংগ্রেস। গতবারে তিনটি আসন পেয়েছিল জোট। এবারে চারে চার হবে বলে দাবী জোট নেতৃত্বের। সেই লক্ষ্যেই যৌথভাবে প্রচার শুরু করছে তারা। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নকশালবাড়িতে কর্মসূচি রয়েছে জোটের। যেখানে উপস্থিত থাকবেন অশোক ভট্টাচার্য, জেলা সিপিএমের সম্পাদক জীবেশ সরকারেরা। কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকার, সুবীন ভৌমিক, সুজয় ঘটকেরা।
নেতৃত্বের দাবি, আপাতত বুথস্তর থেকে দলের নেতা, কর্মীদের মন জয় করার লক্ষ্যে নামছে তারা। পরবর্তীতে বড় জনসভাও করা হবে। শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদও দখল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভার ফলাফলের বিচারে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও বিধানসভায় জোটেরই জয় হবে বলে দাবী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের।
Partha Sarkar