পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এই ইঞ্জিনিয়ার প্রথমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান। হাইকোর্টে তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর সোজা সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি। সেখানেও তাঁর আগাম জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ায় বৃহস্পতিবার জয়গাঁ থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুনঃ স্কুলের সামনেই চোলাই মদের ব্যবসা! হানা দিল পুলিশ, দাসপুরে তারপর যা হল…
advertisement
জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘থানায় আত্মসমর্পণ করার পর আমরা ওনাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আমরা ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন’।
জানা গিয়েছে, জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পার্থ সারথি দাস নিজের স্ত্রীর নামে ৫ লক্ষ মশারি কেনার বরাত দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, টেন্ডার না করেই কাজ করা, কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া সহ নানান আর্থিক গরমিল ও তছরূপের অভিযোগ ওঠে আলিপুরদুয়ার শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ পারমিট নিয়ে ঝামেলা, চলছে না বাস! চরম হয়রানির মুখে নিত্যযাত্রীরা
২০২৪ সালে প্রথম এই অভিযোগ সামনে আনেন জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। এরপর এই ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করে পদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু সাসপেন্ডের পর নতুন দায়িত্ব প্রাপককে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ২৮টি ফাইল তিনি বুঝিয়ে দেননি।
এরপর ৫ ডিসেম্বর জয়গাঁ থানায় এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে মামলা করেন পার্থ সারথি দাস নিজে। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না! গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান এই ইঞ্জিনিয়ার। সেখানেও জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ায় আত্মসমর্পণ করে গ্রেফতার হলেন তিনি।