এদিন জন সংযোগ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে কোচবিহার দক্ষিণে সভা করেন অভিষেক৷ সভামঞ্চ থেকেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এই মাঠেও ব্যালট বক্স থাকবে৷ সেখানে ভোট দিতে হুড়োহুড়ি করবেন না। নিজেদের মতামত রেখে যাবেন। যাকে ইচ্ছা ভোট দিন৷ কিন্তু ভাল মানুষকে ভোট দিন৷’’
advertisement
তারপরেই অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘‘একটা ব্যালট পেপারে সুপারিশ করে দিলেই যে ভাবছে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলাম, সে ভুল ভাবছে। যে ভাবছে ২০ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে যাব, আসন সুনিশ্চিত করতে পারব, সে মূর্খের স্বর্গে বাস করছে৷ ’’
মঙ্গলবার সকাল থেকে কোচবিহারে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন অভিষেক। আজ, বুধবার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন৷ তাঁর এই কর্মসূচির লক্ষ্য, জনমতের উপর নির্ভর করে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য় তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা। সেই কর্মসূচির অংশ স্বরূপ সাহেবগঞ্জ ও সিতাইয়ে দু’টি সভা করেন তিনি। ঘোষণা করেন, সভা শেষেই গোপন ব্যালটে প্রার্থীর নাম জানাতে পারবে আমজনতা। অভিষেকের সভা শেষের পর সেই ‘ভোটগ্রহণ’ শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই থেমে যায় ভোটগ্রহণ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিষেকের এই হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এদিন তাঁর সভা শেষ হতেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভাঙচুর করা হয় ব্যালট বাক্স, লুট হয় ব্যালট পেপার। একই ছবি দেখা যায়, সাহেবগঞ্জ ও সিতাইয়ের সভাস্থলেও। ফলে গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট দিয়েই উঠতে পারেননি সভায় আগত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সভার পরেও সরব হতে শোনা গিয়েছে অভিষেককে৷ এদিন ফের সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি৷